আজও শুরু হচ্ছে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ভোগান্তি আশঙ্কা
- তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১২ AM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১২ AM

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চলছে। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার কারণে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড শিথিল রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা পুনরায় অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আজও মানুষ ভোগান্তির শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর ঐক্য উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার বলেন, আমাদের সাত দফা দাবির মূল দফা হলো এক দফা। তিতুমীর কলেজ যদি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে বাকি ছয় দফা এমনিতেই পূরণ হয়ে যাবে। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির দাবিতে অনশন ও ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার কারণে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড শিথিল রাখা হবে। আখেরি মোনাজাত শেষ হলে পুনরায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মূলা ঝোলানো আশ্বাসে বিশ্বাস করি না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এখানে (কলেজে) এসে আমাদের জানান, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলো। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।
এর আগে শুক্রবার রাতে কলেজের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শনিবার বিকাল ৪টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) অবরোধের ঘোষণা দেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রথমে কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন: আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার খোলায় কলেজছাত্র আটক
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলক্রসিং ঘুরে আবারও কলেজের সামনে আসেন। সেখান থেকে গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর অবরোধ করেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর, রাত ৮টার দিকে তারা কলেজের সামনে ফিরে অবস্থান নেন।
এর ফলে বিকেল থেকে মহাখালী থেকে গুলশানমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এই সড়ক ব্যবহারকারী পথচারী ও যাত্রীরা। আজও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।