ইবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন

ইবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়
ইবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়  © টিডিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির (এএসএম) ইবি শাখা এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান বায়োটেডের যৌথ উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া রসচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে এ সচেতনতা সেমিনার এবং স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং করে দেওয়া হয়।

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের এএসএম কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম আকন্দ এবং কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সওগাতুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, বাইরে অপেক্ষায় অভিভাবকরা

কি-নোট স্পিকার ড. সওগাতুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গবেষণায় আমরা বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১% থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। সে হিসাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এর ভুক্তভোগী। এর মধ্যে বিটা থ্যালাসেমিয়া ক্যাটাগরির রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে বেশি। আমরা বিয়ের আগে দেখব যে স্বামী বা স্ত্রীর কেউ একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না। আমরা সচেতন হলে থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্তর সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনা সম্ভব। আমরা তরুণদের যদি সচেতন করতে পারি তাহলে তরুণেরাই এটার পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলবে। শিক্ষার্থীদের বলব, তোমরা নিজেরা বাহক না হলেও একেকজন আরও ১০ জনকে সচেতন করার চেষ্টা করবে। থ্যালাসেমিয়ার কোনো চিকিৎসা নেই, তাই আমাদের উচিত এটি প্রতিরোধে সচেষ্ট হওয়া।’

আরও পড়ুন: টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা ৬ বিশ্ববিদ্যালয়

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আলোচনা শুনে যা বুজলাম তা হচ্ছে এই টেস্টগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে করা গেলেও গ্রামাঞ্চলে এর পরিমাণ অনেক কম। আসলে গ্রামে প্রচুর রোগী আছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে একজন কেন মারা গেল। আমি আয়োজকদের অনুরোধ করব, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বৃহৎ আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করতে। তাহলে আশা করি, থ্যালাসেমিয়া থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence