প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি আদায়ে শিক্ষকদের পাশে থাকবে ইউজিসি: ড. হাসিনা খান
সর্বজনীন পেনশন
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ১০:২২ PM , আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ১১:২৪ PM

বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থাকবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে পিএইচডি সম্পন্নকারী, লেখক এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও জনবল নিশ্চিতকরণসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ কার্যক্রমের বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেন, বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন, তার পাশে আছে ইউজিসি। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান তারাই কিন্তু শিক্ষকতায় আসে। এর মাঝেও অনেকে বিসিএস দিয়ে পেশা পরিবর্তন করে ফেলে। আমরাতো আর কাউকে পাবো না।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে দায়বদ্ধতা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, কারিগর তৈরি করার, সে লক্ষে আমরা পৌঁছাতে পারবো না। আশা করছি আপনাদের এই আন্দোলন সরকারের কাছে পৌঁছাবে আর আমরা ইউজিসির পক্ষ থেকে আপনাদের পাশে থাকবো।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জনবলের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে মাত্র ৪ জন শিক্ষক আছেন, মার্কেটিংয়ে ৪ জন, ব্যবস্থাপনায় মাত্র ২ জন শিক্ষক আছেন। এই ২-৪ জন শিক্ষক নিয়ে একটি বিভাগ পরিচালনা কতটা কষ্টের সেটি আমরা বুঝতে পরি। দুজন শিক্ষক দিয়ে নিয়মিত পাঁচটি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে শিক্ষকরা নিজেদের গবেষণা কীভাবে করবেন, যেখানে দুজন শিক্ষক থাকেন তারা কীভাবে নিজেদের ক্যারিয়ারের উন্নতি করবেন- এ প্রশ্ন আমাদেরও। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি বিশ্বমানের করতে চাই তাহলে প্রথম দরকার জনবল।
নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার এবং নুসরাত শারমিন তানিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত ৪৪ জন শিক্ষককে পিএইচডি সম্মাননা এবং ২০২৪ সালে বইমেলায় বই প্রকাশের জন্য ৫ জন শিক্ষককে লেখক সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত ২ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।