রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইনোভেশন প্রদর্শনী আয়োজিত

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইনোভেশন প্রদর্শনী আয়োজিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইনোভেশন প্রদর্শনী আয়োজিত  © সংগৃহীত

ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইনোভেশন প্রদর্শনী (শোকেসিং) আয়োজিত হয়েছে। 

সোমবার (৬ই মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন - ৩ এ আয়োজিত হয়েছে প্রদর্শনীটি। প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলসমূহ তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রদর্শন করেন।

এসময় ইনোভেশন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং উদ্ভাবনগুলো পরিদর্শন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শাহ্ আজম। এসময় তিনি বলেন, সময়ের সাথে সবকিছু পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, আইডিয়া, শিক্ষা-গবেষণার ধরণ প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। ইনোভেশন শোকেসের ধারণাটি আমাদের সেই ভাবনার জগৎকে সম্প্রসারিত করার সুযোগ করে দিচ্ছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মানের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের তরুণ সম্প্রদায়কে উদ্ভাবনী চিন্তা দ্বারা সহযোগিতা করতে হবে।  

প্রর্দশনী শেষে বিজয়ী দলসমূহের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী, সৌরভ ও ফায়েজুরের “আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা” উদ্ভাবনী প্রকল্প। ২য় স্থান অর্জন করে শিক্ষার্থী মিজানুরের “ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম” এবং ৩য় স্থান অর্জন করে অফিস সহকারী ওয়াসেল ও শাহ মাহমুদের “স্মার্ট স্টুডেন্ট ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট” উদ্ভাবনী প্রকল্প।

জানা যায়, এপিএ বাস্তবায়নে মন্ত্রনালয়ের গাইডেন্স অনুযায়ী ৬টি ফ্যাক্টরের একটি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে  'প্রজেক্ট শোকেসিং' আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত অথবা পূর্ব থেকে চলমান সেবাসমূহ পুরাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক কর্মপরিকল্পনা ও ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেই এই উদ্ভাবনী প্রদর্শনী আয়োজিত।


সর্বশেষ সংবাদ