বাড়ি যেতে বাস দিয়েছে কুবি প্রশাসন, শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন ট্যুরে

কুবিতে বাসে উঠছেন শিক্ষার্থীরা
কুবিতে বাসে উঠছেন শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বাসে বাড়ি না ফিরে ট্যুরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ক্যাম্পাস থেকে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ভাঙ্গা, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সাতটি বাস। সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের বাসে করে ঘুরতে গেছেন বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী। এরপর সিলেটে যাদের বাড়ি, তাদের যাওয়ার জন্য আরেকটি বাসের ব্যবস্থা করেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী। 

সিলেটে ট্যুরে যাচ্ছিলেন মার্কেটিং শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বাসের সবাই ট্যুরে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বাড়ি ফেরার জন্য বাস দিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বাড়ি না গিয়ে ট্যুরে যাচ্ছি। ট্যুর থেকে আবার ক্যাম্পাসে  ফিরে যাব।’

জহিরুল ইসলাম পলাশ নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যুরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তাই বলে এটা ভাববেন না যে, আর আন্দোলন করবে না। যদি এটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে আছেন। শনিবার ব্যাক করছি। রবিবার আবার দেখা হচ্ছে।’

সাদিয়া আকতার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসন কৃচ্ছ্র সাধনের নামে বৃহস্পতিবার বাস বন্ধ রেখেছে। এখন কীভাবে বিভিন্ন বিভাগে বাস পাঠাচ্ছে? প্রশাসন শিক্ষকদের দাবি না মেনে উল্টো শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলেছে। তাদের বাড়ি ফেরার জন্য বাস দিচ্ছে। এটা কি কোন সমাধান হতে পারে?’

আরো পড়ুন: ‘রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না’—ছাত্রলীগ নেতার হুমকি  

পদার্থবিজ্ঞান ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রমা বিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘চলো না ঘুরে আসি সিলেট থেকে। যেখানে বাসের মধ্যে এতো সিট আছে। ধন্যবাদ মাননীয় এভাবে ফ্রি তে বিনোদন এবং একটা মিনি ট্যুরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।’ 

এদিকে অন্য বাসগুলোতে তেমন যাত্রী ছিল না। রংপুরগামী বাসে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও আগের দিন প্রশাসনের বরাদ্দ দেওয়া বাসে শিক্ষার্থী না থাকায়ভাড়া মারতে দেখা গেছে চালকদের। 

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ