র্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইবির ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০১ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৭ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল ভাঙচুর ও র্যাগিংয়ের ঘটনা তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
মেডিকেল ভাঙচুরের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কার হয়েছেন আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য এবং র্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমন।
এছাড়া র্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি মোতাবেক ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত আরও দুইজনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও করা হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে মেডিকেলে ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ও ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেন প্রশাসনের কাছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই ওই তিন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়।
এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরেরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তরা হলেন, হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে উভয় কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।