আইন মেনেই অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ইউজিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ইউজিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়   © লোগো

গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। 

এদিকে, আজ এই বিষয়ে ইউজিসির পত্রের জবাব দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পত্রে এই জবাব প্রদান করা হয় বলে জানায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ইউজিসির কর্তৃক প্রেরিত পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের যেসব ধারা বর্ণিত হয়েছে সেটিকে আংশিক ও খণ্ডিত বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স বন্ধের নির্দেশ ইউজিসির

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনার্স খোলা বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখপূর্বক ইউজিসিকে প্রেরিত পত্রে বলা হয়েছে, “আপনার প্রেরিত পত্র ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এই মর্মে অবহিত করছি যে, ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ নামে অবহিত।” 

উক্ত আইনের ৩ ধারায় এই আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে “আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।”

এবং

আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে “এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে।”

এবং

৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা;”

এবং

৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা;”

এবং

আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলী বিবৃত হয়েছে এবং ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে এই কেন্দ্র  “সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করিবে;”
 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনের উপরিউক্ত ধারাসমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ।”

উল্লেখ্য, গতকাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়েছে। ঐ পত্রের জবাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ