বিএম কলেজের সামনে আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ি ও দোকান-পাটের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলানো হয় সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে। ফেলানো নোংরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের সকল ময়লা আবর্জনা দিনে প্রাথমিক পর্যায়ে বিএম কলেজের প্রিন্সিপাল গেট থেকে পরিবহন গেট এর মাঝামাঝি স্থানে ফেলা হয়। পরবর্তীতে রাতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসে ময়লা গুলো নিয়ে যায়। প্রতিদিন ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম ফরহাদ জানান, বিএম কলেজের সামনে পরিবহন গেইটের ঠিক কাছাকাছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তাটা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলের সময় দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে বমি আসে। নাক চেপে ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আমরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও হাজারো পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। 

ইতিহাস বিভাগের প্রথমবর্ষের সারা আক্তার সুখি জানান, ময়লার কারণে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণের চলাফেরায় সমস্যায় পরতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পরতে হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই দিকে নজর দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের সাদিয়া আক্তার জানান, কলেজের সামনে ময়লা ফেলানোর ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, গন্ধে বমি চলে আসে। এছাড়াও ময়লার স্তুপের কাছাকাছি খাবারের দোকান গুলো থাকায় সেই সব দোকানের খাবার গুলোও অস্বাস্থ্যকর মনে হয়। এতে শারীরিক, মানসিক সব দিক থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। 

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের ময়লা আবর্জনা ফেলানোর বিষয় টা নিয়ে আমি সিটি কর্পোরেশনে একাধিকবার জানিয়েছি। ফলে কলেজের সামনে ময়লা না ফেলে তারা আম্বিয়া হাসপাতালের কাছে ফেলে। দুই তিন দিন পর ফের ময়লা আবর্জনা কলেজের সামনেই ফেলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমি ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলের সাথে আলাপ করেছি, কাউন্সিলর আমাকে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে।

বিষয়টি নিয়ে ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ কারার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।


সর্বশেষ সংবাদ