দুর্নীতির পক্ষে উপাচার্যের সাফাই, প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাংবাদিককে বহিষ্কার
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:০১ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:১০ PM
দুর্নীতি বিষয়ে গত ৩১ জুলাই (সোমবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের 'নবীন বরন ও বিদায়' অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির পক্ষে মন্তব্য করেন। বিষয়টি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
বুধবার (২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো: আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই, ২০২৩ ইং তারিখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের 'নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান এ মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এর বক্তব্যকে বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সুপারিশে ০২ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সভায় অনুমোদিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
এদিকে প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছি। তবে আমরা কোনো সাংবাদিককে বহিষ্কারাদেশের জন্য সুপারিশ করিনি। আমরা শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইনে বা নিয়মে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। এ বিষয়ে প্রতিবেদককে উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে তিনি কল কেটে দেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ার বলেন, আমাকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে কল দেয়া হলে আমি গিয়ে আমার বহিষ্কারাদেশ নিয়ে আসি, এর আগে আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন থেকে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। আর আমি সম্পুর্ণ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈনের সাথে একাধিক সংবাদকর্মী মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।