জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রাচীর ভাঙ্গার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০২:৪৮ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ০২:৪৮ PM
ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরকারী নূর আলম বাবুল ও তার বাহিনীর গ্রেফতার এবং নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা সাত দফা জানান। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ভাঙার অপরাধে বাবুলসহ তার সহযোগীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে; ক্যাম্পাসের সমতল ভূমি থেকে যারা মাটি চুরি করে ১৫০ টি কূপ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগব করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত পুলিশ ফাঁড়ির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে; চলমান সীমানা প্রাচীরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে; কোন অদৃশ্য শক্তি যেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের ব্যাঘাত না করতে পারে সেই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন ক্যাম্পাস হলো আমাদের রাজপথের আন্দোলনের ফসল। এখন এটা রক্ষার জন্য আবারও যদি রাজপথে নামতে হয় শিক্ষার্থীদের তাহলে তারা রাজপথে নামবে। আমরা সুকান্তের ঝলসানো রুটির মতো থাকতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী পুরান ঢাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। অধীর আগ্রহে নিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্যাম্পাসের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এরইমধ্যে আমাদের ৭ দফা মেনে নিতে হবে। যদি এরই মধ্যে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা পুরান ঢাকা অচল করে দিব।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে নূর আলম বাবুলের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পূর্বপাশে মুজাহিদনগর মাদরাসার পাশে সীমানা প্রাচীর ভাঙার ঘটনা ঘটে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দল ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় হামলাকারীদের। পরে পুলিশ আসলে ভাঙচুর চালানো স্থানীয়রা সবাই পালিয়ে যান। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়ি রেখে চলে যায় তারা। পুলিশ কেরানীগঞ্জ থানায় গাড়িটি জব্দ করে নিয়ে যায়।