সবার শেষে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সেশনজটে পড়তে চায় না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান  © সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশকে নিয়ে সবার শেষে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সেশনজটে পড়তে চায় না বলে মন্তব্য করেছন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন তিনি।  

তিনি বলেন, অনার্স প্রথম বর্ষে সকল বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে এবং আর্থিক সাশ্রয় হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশকে নিয়ে সবার শেষে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সেশনজটে পড়তে চায় না। একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষা হয়ে আমরা যদি মেধার সবচেয়ে খারাপ অংশটুকু পাই তবুও তাদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য আমার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলো প্রস্তুত রয়েছে।

উপাচার্য বলেন, সুতরাং আপনারা যারা মানবিকতা এবং নৈতিকতার কথা বলেন, অর্থ অপচয়ের কথা বলেন- ঘাটে ঘাটে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া হচ্ছে অর্থ অপচয়। একটি মাত্র মেধা তালিকা হোক। সেই মেধা তালিকায় আমি সর্বনিম্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় আমাদের রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, তরুণদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে না। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষে আটমাস, দশমাস পরে আমরা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আবার দেড় থেকে দুই বছরের সেশনজটে পড়বো। আমি তথ্য দিয়ে বলছি, মাত্র দুই শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অন্যত্র যায়। আর ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যায়।

তিনি আরও বলেন, তবুও আমি বলেছি, যে ২ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যত্র যায় তাদের থেকে কোনো কলেজ অর্থ নিতে পারবে না। যদি শিক্ষার্থীরা কলেজ পরিবর্তন করতে হয় তাহলেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো ফি নেবো না। অর্থ আদায়ের জন্য আমরা শিক্ষার্থীর কাছে যেতে চাই না।

আরও পড়ুন: স্থানীয়দের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা’।

উপচার্য অনুরোধ করে বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। যেই কলেজের অনার্সে শিক্ষার্থী নেই, আপনি সেই কলেজে অনার্স পাঠদান বন্ধের জন্য আবেদন করুন। এই সৎ সাহস আপনাকে দেখাতে হবে। কেননা আমরা ইতোমধ্যে ১২টি নতুন পিজিডি কোর্স চালু করেছি। ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আইসিটি, সফট স্কিল, ডিজিটাল মার্কেটিং, অন্ট্রাপেনারশিপ ইত্যাদি। এ বছরে যারা অনার্স এবং ডিগ্রিতে ভর্তি হবে- সকলকে প্রথম বর্ষে আইসিটি অবশ্যপাঠ্য হিসেবে পড়তে হবে। আর তৃতীয় বর্ষে সফট স্কিল অবশ্যপাঠ্য হিসেবে পড়বে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, আমি জানি আপনাদের কোথায় কোথায় না পাওয়ার বঞ্চনা রয়েছে। অনার্স কলেজের অনেক শিক্ষকরা বেতন পান না। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কিন্তু চাইলেই কিছু করা যায় না।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, 'তোমরা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করো আমি এর বিরুদ্ধে নই। তবে এই দেশমাতৃকারও তৃষ্ণা আছে। তুমি তোমার মাকে যেমন ভালোবাসবে, এই দেশমাতৃকাকেও ভালোবাসবে। তোমরা যার স্বপ্ন নিয়ে এই ক্যাম্পাসে এসেছ। তোমাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ধরনের চালের মোকাবেলা করে বাবা-মায়ের নায়ি করেও পড়াশোনা করে যাচ্ছে। আমি তোমাদের মুট জানাই। জাতীয় বিশ্ববিদালয় নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence