সদ্য সরকারি কলেজের প্রভাষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্থিতাবস্থা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৬ PM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৬ PM
সদ্য সরকারিকরণ হওয়া কলেজের প্রভাষকদের সরকারিকরণের পর থেকে সপ্তম গ্রেডে বেতন বা এমপিও হিসেবে গ্রহণ করা অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ বিধি-৯ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকদের বেতন স্কেল বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সরকারিকরণ হওয়া দুটি কলেজের ১৮ জন প্রভাষকের দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রিটকারীরা ২০১৮ সালে সরকারিকরণ হওয়া ২৯৮টি কলেজের মধ্যে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ এবং শাল্লা ডিগ্রি কলেজের সরকারিকরণের আগে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন। তারা এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর নবম গ্রেডে এমপিও ভুক্ত হন। তারপর প্রভাষক পদে আট বছর পূর্তির পর একটি সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত হলে তাদের বেতন স্কেল নবম গ্রেড থেকে সপ্তম গ্রেডে আপগ্রেড হয়। তারা সপ্তম গ্রেডে বেতন/এমপিও সুবিধা ভোগ করতে থাকেন।
২০১৮ সালে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ জারি করে সরকার। সেই বিধিমালার বিধি ৯ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ, সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের তারিখ থেকে বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে স্ব-স্ব পদের বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবে।
পরবর্তী সময়ে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাদের কলেজ দুইটি সরকারিকরণ হয়। পরে ২০২৩ সালে তাদেরকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিধি ৯ এর কারণে তাদের বেতন স্কেল সপ্তম গ্রেডের পরিবর্তে নবম গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়। যার ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন। এখন কলেজ সরকারিকরণের পর থেকে থেকে পিটিশনার সপ্তম গ্রেডে বেতন/এমপিও হিসেবে গৃহীত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদান করার জন্য আদেশ জারি করেছেন।
বারবার বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো ফলাফল না পেয়ে তারা ওই রিট পিটিশন দায়ের করেন। সিলেট জেলার মো. ফরিদ আহমেদ, মো. বশির আহমেদ, মো. শফিউল আজম চৌধুরী, মো. মইনুল হক চৌধুরী, শান্তিময় দেব, সুনামগঞ্জ জেলার আরাধন চন্দ্র সরকার, রূপচান দাস, অরুণ কান্তি চৌধুরী, মো. মোজাম্মিল ইসলাম এবং শিল্পি রানি বনিকসহ মোট ১৮ জন প্রভাষক এ রিট দায়ের করেন।