বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘এআই’ নিয়ে উচ্চশিক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২০ PM , আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৫ PM
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে এসেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। চার বছরের মেয়াদি এ প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, নিউরাল নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং এআই ইথিক্সসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা উচ্চশিক্ষালয়টির। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি।
মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে নকল করে কাজ সম্পাদন করাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের প্রধান কাজ। এআইয়ের ব্যবহার এখন শুধু শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত খাতেই নয় স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি, এবং বাণিজ্যেও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে বা হচ্ছে। বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি খাতে এআই এবং ডেটা সায়েন্সের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষ, যুগোপযোগী ও স্মার্ট গ্রাজুয়েট তৈরিতে ‘এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স’ বিষয়ে স্নাতক কোর্স চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রয়োগ শিখতে পারবেন। এটি কেবল তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে না বরং প্রযুক্তি-চালিত ভবিষ্যতের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত করবে।
তারা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব যত বাড়ছে ততই এআই এবং ডেটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুযোগ তৈরি হচ্ছে গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন, এবং টেসলার মতো শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকরির।
গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের প্রায় ২৮% বৃদ্ধি ঘটবে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভবিষ্যতমুখী কর্মক্ষেত্রের আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে।
প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য:
চার বছরের বিএসসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, নিউরাল নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং এআই ইথিক্সসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করবেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির উন্নত ল্যাব এবং এতে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা দেবে; যা তাদের কর্মজীবনে সফল হতে সহায়তা করবে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীরে জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গড়ার একটি অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এমন দক্ষতা অর্জন করবে যা তাদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
ডেটা সায়েন্স:
নতুন দিনের আবিষ্কার: ডেটা সায়েন্স বর্তমান বিশ্বে তথ্য বিশ্লেষণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তথ্যের বিশ্লেষণ, ব্যবহার, এবং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল হিসেবে ডেটা সায়েন্স ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রোগ্রামটি শির্ক্ষাীরে ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান বের করতে সহায়তা করবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ইত্যােিত কাজ করার জন্য যোগ্য হয়ে উঠবে।
ডাটা সায়েন্সের স্নাতকরা ডেটা সায়েন্টিস্ট, এআই ইঞ্জিনিয়ার, মেশিন লার্নিং স্পেশালিস্ট, এনএলপি ইঞ্জিনিয়ার, বিগ ডেটা অ্যানালিস্ট, এআই কনসালট্যান্ট এবং আরও বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা উন্নত কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া গ্রিন ইউনিভার্সিটি বর্তমানে এখন দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্বব্যিালয়। প্রতিষ্ঠানটি শুধু শিক্ষার্থীরে ডিগ্রি প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করে না, পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ারের দিক নির্শেনা প্রদান, ইন্টার্নশিপ ও চাকরি প্রাপ্তির জন্য কাজ করে। এজন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) এর বাইরেও গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফার করে শে-বিেেশর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
অবকাঠামো ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা পাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এজন্য ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে এই বিশ্বব্যিালয়। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসের মাধ্যমে শির্ক্ষাীরে যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছে এই বিশ্বব্যিালয়।