বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি  © টিডিসি ফটো

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সামার-২০২৩ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার খড়খড়ি বাইপাস সংলগ্ন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দসহ প্রায় ৬ হাজার মানুষ উপস্থিতি ছিলেন।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ফুলেল শুভেচ্ছায় নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, জেনারেল সেক্রেটারি এ. কে. এম. কামরুজ্জামান খান ও সম্মানিত সদস্য মোহাম্মদ আলী দ্বীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. সাইদুর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম.পি. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। একসময় মানুষের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খারাপ ধারণা ছিল। তারা মনে করতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো লেখাপড়া হয় না, লেখাপড়া বিক্রি হয়, সার্টিফিকেট বিক্রি হয়। কিন্তু আমরা এর বিপরীতে কাজ করে আজকের গর্বের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১২ বছর। আমার মনে হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ১২ বছরে ১২ পয়সাও তাঁর নিজের পকেটে নেননি। বরং কোটি কোটি টাকা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে  বিনিয়োগ করেছেন শুধু শিক্ষার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনুরোধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শুধুমাত্র বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা আমাদের জন্য গর্বের। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকা প্রায় শতভাগ মানুষই আওয়ামী পরিবারের সাথে জড়িত। সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেউ রাজনীতিকরণ করে নাই। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ট্রাস্টি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কারও কাছে কোনো ধরনের তদবির করে নাই। আমি বিশ্বাস করি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক আনন্দের দিন। একদিকে ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান অপর দিকে নতুন ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু যা আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণসহ সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রম ডিসেম্বরের মধ্যে এবং শিক্ষার যাবতীয় পরিবেশ আগামী ৬ মাসের মধ্যে তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী। 

নবীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। আমি যখন তোমাদের দিকে তাকাই তখনই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনকে মিস করি। আমি যা কিছু শিখেছি, যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু অর্জন করেছি তার সবকিছুই পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিশেষত্ব হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা। তোমরা সেই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবার ও সমাজ তথা দেশের জন্য কাজ করে যাও। আজ থেকে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের আরেক পরিবার। 

নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান বলেন, তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করে শুধু শিক্ষিত কর্মী ও মানব সম্পদ না হয়ে সৎ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বশীল হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ