আত্মহত্যার বিষয়টি ফেসবুক গ্রুপে জানিয়েছিলেন ড্যাফোডিলের হৃদয়

কুদরত-ই-খুদা হৃদয়
কুদরত-ই-খুদা হৃদয়  © সংগৃহীত

রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসা থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী কুদরত-ই-খুদা হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার পূর্বে হৃদয় তার কর্মস্থলের একটি ফেসবুক গ্রুপে আত্মহত্যা করবেন বলে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকার একটি বাসার অষ্টম তলা থেকে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, হৃদয় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৩৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। লেকসার্কাসের ওই বাসার অষ্টম তলার চিলেকোঠায় থাকতেন তিনি। প্রায় এক বছর ধরে যমুনা টেলিভিশনে নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করছিলেন হৃদয়।

যমুনা টেলিভিশনে কর্মরত হৃদয়ের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য যমুনা টেলিভিশনে কর্মরত ব্যক্তিদের একটি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। সকালে সেই গ্রুপে হৃদয় লিখেছিলেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন। পরে বিষয়টি যমুনা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হৃদয় আত্মহত্যা করতে পারেন এমন খবর যমুনা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। পরে তার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হৃদয়কে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এদিকে হৃদয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক তরুণীকে আটক করে নিয়ে গেছে কলাবাগান থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটতন হতে পারে বলে জানা গেছে।

হৃদয়ের এক সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হৃদয়ের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। তার সাথে এক নারীর পাঁচ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। তবে হৃদয় ঠিক কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন সেটি জানাতে পারেননি ওই সহপাঠী। 


সর্বশেষ সংবাদ