বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম বন্ধে আসছে নজরদারি প্রযুক্তি

ইউজিসি
ইউজিসি  © সংগৃহীত

আসনসংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, সনদ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নজরদারির আওতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে তারা।

সূত্র হত জানা যায়, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একটি সফটওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তদারকির সব কার্যক্রম চলবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান, এই সফটওয়্যার কার্যকর হলে সনদ-বাণিজ্য বন্ধ হবে। কেননা, তখন শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে শুরু করে সেমিস্টার অনুযায়ী ফলসহ সবকিছু নজরদারির মধ্যে আসবে। এতে চাইলেও কারও পক্ষে অনৈতিক উপায়ে সনদ দেওয়া সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: ঢাবির আইবিএতে ভর্তি আবেদন শুরু, পরীক্ষা ২৬ মে।

এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। সংস্থার পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) মো. ওমর ফারুকের সই করা গত ২০ ফেব্রুয়ারির অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বেতন-ভাতা যেন জাতীয় বেতন স্কেলের চেয়ে কম না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত আসনসংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে। মানও সন্তোষজনক নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে সনদ-বাণিজ্যের অভিযোগ। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই।

ইউজিসি সূত্র বলেছে, প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম চার বছর পরপর হালনাগাদ এবং নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মে না মেনে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। সনদ-বাণিজ্যসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে। এসব রুখতে তদারকি অটোমেশন করার জন্য অত্যাধুনিক একটি সফটওয়্যার তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ