পাবনায় চাহিদার তুলনায় নতুন বই মিলেছে ৪০ শতাংশ

শিক্ষকরা নতুন বই বুঝে নিচ্ছেন। সোমবার বিকেলে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে
শিক্ষকরা নতুন বই বুঝে নিচ্ছেন। সোমবার বিকেলে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে  © টিডিসি

অনিশ্চয়তার মধ্যেও পাবনায় আজ নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বই। কয়েক দিন ধরে উপজেলা থেকে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে নতুন বই। শিক্ষকরা ইতিমধ্যে বই বুঝে নিয়েছেন তাদের স্কুলের জন্য। চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। যা অনেক শিক্ষার্থী নতুন বই পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। নতুন বইয়ের আনন্দের পাশাপাশি আছে হতাশাও।

শিক্ষকরা জানান, শুধু প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। 
অনেক শিক্ষার্থী নতুন বই থেকে বঞ্চিত হবে। কবে সব শ্রেণির সব বই পাওয়া যাবে সেটিও অনিশ্চিত।

সোমবার বিকেলে কথা হয় সুজানগর উপজেলার আনিসুর রহমান আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নতুন বই পেয়ে ভালো লাগছে। শিশুরা নতুন বই পাবে। তবে সব শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। কারণ সব বই পাওয়াও যায়নি। তাই আনন্দের সঙ্গে হতাশাও আছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই কবে পাব, তা-ও জানি না।’

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল-পিকআপ সংঘর্ষে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর

ব্রিলিয়ান্ট কেজি হাইস্কুলের শিক্ষক সুলতান মাহমুদ খান বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ৪০ শতাংশ বই পেয়েছি আমরা। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পাইনি। যে বই পেয়েছি, তাতেও সব শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারবো না। কিছু পাবে, কিছু পাবে না। কারণ, আমাদের যে চাহিদা ছিল সে তুলনায় অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছি। সবার হাতে বই তুলে দিতে পারলে ভালো লাগত।’

এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, জেলার ১১৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৩টি। প্রথম অবস্থায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি মিলিয়ে পাওয়া গেছে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ১০৮টি। বই প্রাপ্তির হার ৪৪ শতাংশ। সারা বাংলােদেশে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কোনো বই দেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সেটি এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।


সর্বশেষ সংবাদ