মেধা বিকাশে বিনামূল্যে দুধ পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

ক্লাসে দুধ পান করছে শিক্ষার্থীরা
ক্লাসে দুধ পান করছে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফোটো

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ২৮নং সান্দিকোনা ক্লাস্টার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছরের ১৩ আগস্ট থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায়  স্কুল মিল্ক কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রতি ১-২ সপ্তাহ পর পর শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে এসব দুধ পৌঁছে দেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএইচটি মিল্ক।

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিদিন দেওয়া হয় বিনামূল্যে দুধ। উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ২৮নং সান্দিকোনা ক্লাস্টার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫১ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন প্যাকেটের দুইশত একান্ন মিলি লিটার তরল দুধ পাচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি পড়ালেখার প্রতি মনোযোগীও হচ্ছে তারা।

১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাওন রবিদাস ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার জানায়, স্কুলে প্রতিদিন ২০০মি.লি. দুধ খেতে পেরে তারা খুবই খুশি। তারা চায় উপজেলার সব স্কুলের শিক্ষার্থীরাই যেন এ দুধ পায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দুধ পাচ্ছে। এসব দুধ বাসায় নেয়ার সুযোগ নেই। বিদ্যালয়ে থেকেই সব শিক্ষার্থীকে এ দুধ পান করতে হয়। কারণ প্রতিদিন কতজন শিক্ষার্থী দুধ পেয়েছে শ্রেণিভিত্তিক তার হিসাব রাখা হয়। আমরা নিয়মিত সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুধ বিতরণ করছি।

২৮নং সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলতাবুন্নাছা জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিনামূল্যে দুধ প্রদানের উদ্যোগটি মহৎ। এতে করে শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটবে। এরমধ্যেই বিদ্যালয়টিতে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পড়ালেখার প্রতিও শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বিগত বছরগুলোর থেকেও এ বছর বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মান আরো বাড়বে।

কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিকভাবে উপজেলার কেবল একটি বিদ্যালয়ে এ স্কুল মিল্ক কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর ফলে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে। এই প্রকল্পটি সরকারের অনন্য উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে কেন্দুয়ার প্রতিটি বিদ্যালয়ে যদি এ কর্মসূচি চালু করা হয় তাহলে উপজেলাতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আগামীতে দেশে গড়ে উঠবে আরো সুশিক্ষিত প্রজন্ম।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর তালুকদার জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় কেন্দুয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছরের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এটি সরকারের পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য প্রান্তিক এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও মেধার বিকাশ ঘটানো। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য সফল হলে পরবর্তীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে এই কর্মসূচি চালু করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ