কাজ না থাকলেও শিক্ষা দপ্তরটির পেছনে গচ্ছা ৫ কোটি টাকা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট। কাজ ছিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক ও কমিউনিটি বিদ্যালয় দেখভাল, জরিপ পরিচালনা এবং শিশুদের স্কুলমুখী করতে জনসচেতনতা বাড়ানো। তবে ২০১৩ সালে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হলে এ দপ্তরের প্রয়োজন ফুরায়।

এরপর প্রায় সাড়ে ৯ বছর ধরে ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একরকম অলস সময় পার করছেন। অথচ এ দপ্তরের পেছনে খরচ হচ্ছে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ের এক পক্ষ দপ্তরটি বিলুপ্ত করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) যুক্ত করতে। আরেক পক্ষ কিন্ডারগার্টেন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে।

ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি, তাঁরা মামলা করেছেন। এ রকম ৮০-৯০টি মামলা পরিচালনা ও সরকারি দিবস উদ্‌যাপন ছাড়া কোনো কাজ নেই দপ্তরের। সারা বছর হাজিরা দিয়ে অলস সময় পার করেন কর্মকর্তারা। মাঝেমধ্যে মন্ত্রণালয় কিছু দায়িত্ব দেয়।

আরো পড়ুন: পাইলটিং ছাড়াই চালু হচ্ছে প্রাথমিকের নতুন শিক্ষাক্রম

ইউনিটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কামাল হোসেন গণমাধ্যম বলেন, ২০১৩ সালে প্রায় সব কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে চলে গেছে। আমরা স্কুল ও শিক্ষকদের মামলাগুলো মোকাবিলা করছি।

জানা গেছে, রাজধানীর শিক্ষা ভবনের পঞ্চম তলাজুড়ে ইউনিটের কার্যালয়। বাকি পাঁচটি ফ্লোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ইউনিটকে সরে যেতে কয়েকবার চিঠি দিয়েছে মাউশি। ইউনিটের প্রধান হলেন মহাপরিচালক। এ ছাড়া পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকসহ ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫২ জন কর্মরত রয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, দপ্তরের আপাতত কাজ নেই সত্য। এটি নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চিন্তাভাবনা চলছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইউনিটটির বিষয়ে নানা চিন্তা রয়েছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence