শহীদ মুছাকে নিয়ে ‘শিবিরের মিথ্যাচার’, চবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- চবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ PM
১৯৯৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মুছা একটি প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চবি শাখা ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ সম্মেলনে এই শহীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল। পরে ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলও করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে চাকসু ভবন অতিক্রম করে শহীদ মিনারে গিয়ে এই বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে চাকসু সংস্কারের বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, মুছার হত্যাকাণ্ডে ছাত্রশিবির জড়িত নয়। বরং একটি সংঘর্ষে তিনি আহত হলে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসার অভাবে মারা গেলে তার বাবা তাকে নিয়ে লাশের রাজনীতি করার চেষ্টা করেন। যা একপ্রকার শিবিরের নামে মিথ্যাচার।
শিবির সভাপতির এমন বক্তব্যকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে শাখা ছাত্রদলের দাবি করছে, ১৯৯৪ সালে শহীদ নুরুল হুদা মুছাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। শিবিরের সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের হত্যার রাজনীতির ইতিহাস মুছতে মুছা হত্যাকাণ্ড নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হয়। শহীদ মুছার হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে চালিয়ে দেয়ার যে অপচেষ্টা চালানো হয়েছে তা ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল। ছাত্রশিবিরের এই মিথ্যাচার প্রমাণ করে, তারা আজও সন্ত্রাস, সহিংসতা ও বিভ্রান্তির রাজনীতির পথেই হাঁটছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, এই ধরনের অপপ্রচার শুধু শহীদ মুছার আত্মত্যাগকে অবমাননা করে না, বরং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে সহ-অবস্থানের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সবসময় শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের ছাত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী।