তারেক রহমানের পারিবারিক ছবিতে মেতেছে ইন্টারনেট

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন তারেক জিয়ার
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন তারেক জিয়ার  © টিডিসি সম্পাদিত

দীর্ঘ ৭ বছর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। ঈদের দিনে আনন্দঘন মুহুর্তের পারিবারিক ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন তিনি। ছবিতে তারেক রহমান তার মা ও  বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া, স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমানের সঙ্গে ঈদের দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় আজ রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে দুইটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

প্রথম ছবিতে মা খালেদা জিয়া, মেয়ে জায়মা রহমান ও স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে দেখা যায় তারেক রহমানকে। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায় শুধু মা-ছেলেকে। ছবি দুইটি পোস্ট করার পর স্যোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাকর্মীরা জিয়া পরিবারকে নিয়ে মেতেছে। ছবিতে লাইক-কমেন্টের পাশাপাশি অনেকে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ওয়ালেও আলাদাভাবে শেয়ার করছেন।

তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রথম ছবির ক্যাপশনে। এছাড়া তিনি লিখেছেন, সতেরো বছর ধরে বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষ এমন দিনের অপেক্ষায় ছিল, যখন তারা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবে, যেখানে স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল তাদের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। ২০২৪ সালে সেই প্রার্থনার উত্তর মিলেছে। এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, যেখানে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, বাংলাদেশ স্বৈরতন্ত্রের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে।

তারেক রহমান লিখেছেন, প্রায় দুই দশক পর আমরা পবিত্র রমজান শেষে ঈদ উদযাপন করছি এক স্বাধীন বাংলাদেশে, যেখানে স্বৈরশাসনের কোনো অস্তিত্ব নেই। এই পবিত্র দিনে, আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই সব শহীদদের, যারা এই স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। পাশাপাশি, সেই সকল আহত ও নিপীড়িত মানুষের জন্যও প্রার্থনা করি, যারা এখনো সংগ্রামের ক্ষত বহন করছেন।

‘‘এই ঈদ শুধু আনন্দের নয়, এটি জাতির ঐক্যের প্রতীক উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাই—আমাদের এই প্রথম স্বৈরতন্ত্রমুক্ত ঈদের আনন্দ যেন আমরা যারা আপনজন হারিয়েছে কিংবা গুরুতর আহত হয়েছে সেইসব পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিই।’’

তিনি আরও বলেন, সামর্থ্যবানদের প্রতি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুঃস্থদের সহায়তা ও এতিম শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করুন, যেন অর্থের অভাব কোনো মানুষকে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করে।

তারেক রহমান বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিও আমার অনুরোধ, তারা যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকেন, যাতে ঘরমুখো মানুষজন সহজেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে—ঈদের আনন্দ উদযাপনের মাঝেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অতীতের অশুভ শক্তিগুলো এখনো আমাদের অর্জিত শান্তি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই, আমি সবাইকে আহ্বান জানাই—সতর্ক থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন, যাতে ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে কেউ আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করতে না পারে।

পরিশেষে তিনি বলেন, আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন ঈদের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখেন, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলাকারী জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করতে না পারে। এই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঈদ হোক শান্তি, ঐক্য ও আনন্দের প্রতীক। মহান আল্লাহর নিকট এই প্রার্থনা রইলো।


সর্বশেষ সংবাদ