গত মঙ্গলবার স্কুলে ঢুকে ওই হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর পুলিশের গুলিতে নিহত হন আদ্রিয়ানা মার্টিনেজের ১৮ বছর বয়সী ছেলে সালভাদর রামোস।
“কেন ও এটা করল, সেটা ওই জানে। দয়া করে ওই ঘটনা দিয়ে তাকে বিচার করবেন না। আমি শুধু চাই, যে নিরীহ শিশুরা মারা গেছে, তারা আমাকে ক্ষমা করে দিক।”
সাউথ টেক্সাসের ওই এলিমেন্টারি স্কুলে রামোসের গুলিতে ২১ জনের প্রাণ গেছে, যাদের মধ্যে ১৯ জন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের স্মরণে হোয়াইট হাউজ ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য ফেডারেল ভবনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
তরুণ রামোস ভয়াবহ ওই ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেও মায়ের ভাষায়, তার ছেলে ‘শান্ত’। তিনি বলেন, “ও নিজের মতই ছিল। কাউকে বিরক্ত করেনি…কাউকে কিচ্ছু করেনি।”
বৃহস্পতিবার রামোসের নানা রোল্যান্ডো রেয়েস সিএনএনকে বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার অনেকের পরিবারকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
“তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার বন্ধু। তাদের মুখোমুখি একদিন আমাকে হতে হবে।”
রেয়েস স্ত্রী অর্থাৎ রামোসের নানি ওই দিনের ঘটনার প্রথম ভুক্তভোগী।
সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় রামোস তার নানির মুখে গুলি করেন। একটি গুলি তার নানির চোয়ালে গালের উপরের অংশে লাগে। এরপর গাড়ি চালিয়ে ইউভালডের ওই স্কুলে গিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে ওই তরুণ।
রেয়েস বলেন, তার স্ত্রীকে সান আন্তোনিওর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখের আগের অবস্থা ফেরাতে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন।
রামোসের জন্য তার নানি সবকিছু করেছেন। রেয়েসের ভাষ্য, “ও বুঝতেও পারেনি, তার ১৮ বছরের নাতি কেন তাকে মারবে।”
সিএনএন জানিয়েছে, গুলির ঘটনার পর থেকে রেয়েস এত কাঁদছিলেন যে তার একটি চোখ প্রায় ফুলে যায়।
টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ওই স্কুলের ৫০০ শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই হিসপানিক ভাষাগোষ্ঠীর। সেখানে মূলত দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়, যাদের বয়স ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে