মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৪৩ PM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৬:২০ PM
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেক বংশোদ্ভূত মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ১ম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকশ করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া তিনি অলব্রাইটের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ভাইকে বাঁচাতে লিভার দেবেন জাবি ছাত্রী
অলব্রাইট তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার শহর প্রাগে জন্মান ১৯৩৭ সালে। তার বাবা পেশায় একজন কূটনীতিক ছিলেন। নাৎসিরা ১৯৩৯ সালে চেকোস্লোভাকিয়া দখল করে নিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে তার পরিবার ১৯৪৮ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়। এরপর ডেমোক্রেট নেতা জিমি কার্টার যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তখনই তিনি হোয়াইট হাউজে কাজ শুরু করেন।
সেসময় তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন। বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে প্রথমে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ পান। তার আমলেই তিনি দেশটির প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিল ক্লিনটন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকরা
সবশেষ ২০১২ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরষ্কার লাভ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুর কাছে হার মানেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় গণতন্ত্র সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী তিনি পরিচিতি পান। কসোভোয় জাতিগত দমন অভিযান বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেডেলিন অলব্রাইট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে কন্ডোলিজা রাইস ও হিলারি ক্লিনটনের মত নারী নেতৃত্ব উঠে আসার শুরুটা হয়েছিল তার দেখানো পথ ধরেই। আর সেজন্য তিনি কোটি নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।