জাতিসংঘ শান্তি কমিশনের প্রথম নারী সভাপতি বাংলাদেশের ফাতিমা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০৬ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০৬ PM
১০ বছর পর আবারও পিসবিল্ডিং কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিউ ইয়র্কে মিশরের কাছ থেকে ২০২২ সেশনের জন্য এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। এর আগে এই পদে কোনও নারী ছিলেন না। রাবাব ফাতিমাই প্রথম নারী চেয়ার হিসেবে পিসবিল্ডিং কমিশনে নেতৃত্ব দেবেন।
মঙ্গলবার ইউএন পিস বিল্ডিং কমিশনের এক টুইটে বলা হয়, কমিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: কে হচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগরের পরবর্তী উপাচার্য
বিদায়ী সভাপতি মিশরের স্থায়ী প্রতিনিধি ওসামা আবদুল খালেকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাবাব ফাতিমা। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের ২০২২ সালের ষোড়শ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা ফোরাম শান্তি পতিষ্ঠা কমিশন সংঘাতে জড়িত বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে থাকে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার রাতে বলেন, পিসবিল্ডিং কমিশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সব সময় কাজ করেছে। কিন্তু কমিশনে সভাপতিত্ব করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের। ২০১২ সালে সর্বশেষ পিস বিল্ডিং কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেই সময়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। ওই ফোরামে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রতিনিধি।
বাংলাদেশের জয়ের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘে যারা শান্তি রক্ষার সঙ্গে জড়িত, তারাই শুধুমাত্র এর সদস্য। বাংলাদেশের ওপর ওইসব সদস্যের আস্থা আছে বলেই তারা আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধিকে একবছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত ৩১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় এই কমিশন।জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ অর্থ সাহায্যদাতা এবং সৈন্য প্রেরণকারীদের মধ্যে শীর্ষ দেশগুলোও এর সদস্য। বর্তমানে বিভিন্ন সৈন্য পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের সভাপতি ছিল বাংলাদেশ।
দায়িত্বগ্রহণের পর রাবাব ফাতিমা বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে থাকবে দেশগুলোকে সহায়তার ক্ষেত্রে সময়মত সম্পৃক্ত হওয়া এবং পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদামত দৃষ্টিপাত করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের কাজের পরিধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় হব।