মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন আশা

সংগৃহীত
সংগৃহীত  © ছবি

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেই নিয়ে জল্পনা, কল্পনা, গবেষণা অনেক পুরোনো। বহুকাল ধরে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এর উত্তর খুঁজার জন্য। এবার কি সেই উত্তর পাওয়া যাবে? তবে কি প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গেল মঙ্গল গ্রহে? অন্তত এমনই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো রোবট কিউরিওসিটি। সম্প্রতি মঙ্গলগ্রহের একটি এলাকার মাটি বিশ্লেষণ করে তাতে কার্বনের উপস্থিতি পেয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো রোবটটি।

এর মধ্যে মঙ্গলগ্রহে নাসার পাঠানো যান কিউরিওসিটি রোভার যে ইঙ্গিত দিল তাতে অনেকে এবার বলতে পারেন- পৃথিবী থেকে বেশি দূরে নয়, আমাদের এই সৌরপরিবারেই রয়েছে আরও প্রাণের অস্তিত্ব। আসলে এটা কেবলই একটা শুরু, একটা সম্ভাবনা। সেই ২০১২ সালে মঙ্গলে পা রেখেছে কিউরিওসিটি। সম্প্রতি কিছু নমুনা পাওয়া গেছে যেগুলো এক ধরনের কার্বন সমৃদ্ধ, যা পৃথিবীতে জৈবিক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত।

আরও পড়ুন: ঢাবির ছাত্রলীগকর্মীর সেই অস্ত্রটি খেলনার, ভয় দেখিয়ে নিতেন চাঁদা

বিজ্ঞানীরা কার্বনের এই উপস্থিতিকে গ্রহটিতে প্রাচীন প্রাণের উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে ধারণা করছেন। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণধারণের উপযোগী কি-না, তা যাচাই করতে নাসা ২০১২ সালে কিউরিওসিটি রোবট মঙ্গলগ্রহে পাঠায়। এর পর থেকেই যানটি নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মঙ্গলের বুকে।

তবে প্রশ্ন উঠছে কার্বনসমৃদ্ধ যে নমুনা পাওয়া গেছে তা যদি জীবনের ইঙ্গিত না হয় তবে সেটা কী? বিজ্ঞানীরা আবার এ বিষয়টাও মাথায় রাখছেন যে, পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহ এতই আলাদা যে পৃথিবীর উদাহরণের ওপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: পুলিশকে টাকা ছুড়ে মারলেন বিদেশি

পৃথিবীতে সকল প্রাণের ভিত্তি কার্বন। পৃথিবীর কার্বন চক্রে কার্বন পরমাণু মাটি থেকে বায়ুমণ্ডলে যায় এবং আবার বায়ুমণ্ডল থেকে মাটিতে ফিরে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, আমাদের গ্রহে অধিকাংশ কার্বন রয়েছে শিলা ও মাটিতে। বাকি কার্বন রয়েছে মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল এবং বিভিন্ন জীবের মধ্যে। এই ধারণাকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মঙ্গল গ্রহেও একসময় প্রাণের উপস্থিতি ছিল।

যে বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে কার্বনসমৃদ্ধ ওই নমুনা থেকে জীবনের সন্ধান পাওয়ার আশা করা হচ্ছে তা হলো ওই নমুনা হতে পারে প্রাচীন ব্যাকটেরিয়া জড়িত একটি অনন্য কার্বনের নমুনা। এই নমুনা বায়ুমণ্ডলে মিথেন ছেড়ে দেয়। যেখানে অতিবেগুনী আলো সেই গ্যাসটিকে আরও বড়, আরও জটিল অণুতে রূপান্তরিত করে। এই অণুগুলি ভূপৃষ্ঠে নেমে মঙ্গলের শিলায় তাদের স্বতন্ত্র কার্বনের সংরক্ষণ করতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ