ভারতের ৬ টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ভিডিও আছে; দাবি পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
- এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৪ PM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫০ PM
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি দাবি করেছেন, তাঁদের হাতে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। গতকাল রোববার লাহোরে এক সেমিনারে নাকভি বলেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ ঘিরে কয়েকটি ঘটনায় তিনি যুক্ত ছিলেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। (খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন)
নাকভি আরও বলেন, ‘দেড় মাস ধরে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সরকার, সবাই স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্দার আড়ালে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে।’ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ‘আমাদের সংস্থাগুলোর কাছে ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই যথেষ্ট তথ্য ছিল। আমরা জানতাম, তারা কী পরিকল্পনা করেছে এবং কোন উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে চলেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু তারা সামনে আসে না। আমাদের তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, যখন ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়, তখনই কোনো প্রমাণ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নাকভি দাবি করেন, ‘আমাদের কাছে রাডারের তথ্য আছে, কিন্তু আমাদের ময়দান থেকে পাওয়া প্রমাণের দরকার ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে, আমরা গুলি করে ভূপাতিত করা ছয়টি যুদ্ধবিমানের ভিডিও ফুটেজ পেয়ে যাই। আমাদের কাছে ওই ভিডিও ফুটেজ আছে।’
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও স্থানীয় ১ জন ঘোড়াচালক নিহত হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। সে সময়ে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, পেহেলগাম হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের যোগসূত্র রয়েছে। ইসলামাবাদ দৃঢ়ভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
পেহেলগাম হামলার পর গত মে মাসের শুরুতে দুই প্রতিবেশী দেশ আকাশযুদ্ধে জড়ায়, চার দিন ধরে ওই যুদ্ধ চলে। পাকিস্তান সে সময় বলেছিল, যুদ্ধে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমানও রয়েছে। ভারতের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার জেনারেলও স্বীকার করেছেন, তাঁদের বাহিনী আকাশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তাঁদের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।