ঢাকার অবস্থা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে ভুয়া প্রতিবেদন

দুই পত্রিকার প্রতিবেদন
দুই পত্রিকার প্রতিবেদন  © টিডিসি সম্পাদিত

দেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবির মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গণমাধ্যমে ভুয়া ও মনগড়া প্রতিবেদেন ছাপিয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) ‘থমথমে ঢাকা, ইউনূস‌-উচ্ছেদ ও সেনাশাসন চেয়ে মিছিল’ শীর্ষক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার দিনভর ভিন্ন ভিন্ন মত ও পথের মি‌ছিলে রাজধানী ঢাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি সংগঠনের পাশাপাশি নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরও মিছিল করেছে।

একইদিনে ‘বাংলাদেশে উলটপুরাণ, গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে অনেকেই সেনা শাসন চাইছেন, কী করবেন ওয়াকার’ শীর্ষক দ্য ওয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সে দেশে।

ঘটনার শুরু গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে। সেদিন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। কোনো দাবিতেই পেছাবে না নির্বাচন।’ তার এই বক্তব্যের পর ওইদিন রাত ও পরদিন শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

তাছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে।

যদিও হাসনাতের বক্তব্যকে ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। অপরদিকে সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার একটি ইফতার মাহফিলে তিনি বলেন, সেনাপ্রধানকে সরানোর কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি। এ নিয়ে এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা মনে করি, এ অবস্থাও তৈরি হয়নি। একইসঙ্গে এ অবস্থা যাতে নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত তৈরি না হয়, সেটি আমরা প্রত্যাশা করি।

ঢাকার অবস্থা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন দেশের কোনো গণমাধ্যমে দেখা যায়নি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে দাবি করা ‘ইউনূস সরকারের পদত্যাগ’ কিংবা ‘সেনা শাসন চাওয়া’ এরকম কোনো দাবিতে গত কয়েক দিনে ঢাকা কিংবা দেশের কোথাও বড় আকারে কোনো কর্মসূচিও পালিত হয়নি।

যদিও এ সময়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আলাদা আলাদা দুটি ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। তবে দুটি ঝটিকা মিছিলে ধাওয়া করে পুলিশ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোট ১১ জনকে আটক করে।


সর্বশেষ সংবাদ