ভারতে পালিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ, শেষরক্ষা হল না আওয়ামী লীগ নেতার

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের এক নেতা
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের এক নেতা  © সংগৃহীত

প্রাণভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে আশ্রয় নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। পরিচয় গোপন করে রাজমিস্ত্রির কাজও শুরু করেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হল না। গত সোমবার তাকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাকে ভারতে আসতে এবং আশ্রয় নিতে সাহায্য করার জন্য আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

আজ বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম রাজু আহমেদ। তার বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কুশরপুর এলাকায়। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন ধরে রাজু বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার মালিরবাগানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। রাজমিস্ত্রির কাজও শুরু করেছিলেন। রাজুকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে সাহায্য করার অভিযোগে আসানসোলের বাসিন্দা সুদীপ দাস ওরফে বাপন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, রাজুর আসল পরিচয় জেনেও তাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের বাসিন্দা শেখ মাজেদ রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার তিন জনকেই মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। 

পুলিশ সূত্রের খবর, আওয়ামী লীগের নেতাকে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে আসতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করেছিলেন সুদীপ। গ্রেফতার রাজু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বাংলাদেশে মারধর করা হচ্ছিল। তাই প্রাণের ভয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে ঢোকেন। তবে ভারতে ঢোকার বৈধ কোনও নথি বা কাগজ দেখাতে পারেননি আওয়ামী লীগের ওই নেতা।

এই ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় বাজেপ্রতাপপুরের একটি বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নেতা রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করে।


সর্বশেষ সংবাদ