তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১২৬, নিখোঁজ অনেকে

ভূমিকম্পের পর তিব্বত অঞ্চলের শিগাতসে শহরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি
ভূমিকম্পের পর তিব্বত অঞ্চলের শিগাতসে শহরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি  © সংগৃহীত

চীনের তিব্বত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ নেপালের সীমান্তবর্তী তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ৮ পরিমাপ করা হয়েছে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাসপোর্ট বাতিলের দিনেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

এদিকে নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুতেও তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ১২৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো অনেকে নিখোঁজ এবং অনেকে ধ্বংস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কানাডায় নিখোঁজের এক মাস পর প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়ার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত এলাকার জন্য ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে। আটকে পড়াদের খুঁজে বের করার জন্য প্রায় ১ হজার ৫০০ অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ