যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’ হচ্ছেন ভারতীয় উষা, কে এই নারী?

উষা চিলুকুরি ভ্যান্স
উষা চিলুকুরি ভ্যান্স  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জে ডি ভ্যান্স। সবকিছু ঠিক থাকলে ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্স হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, উষাকে নিয়ে ভারতজুড়ে প্রবল চর্চা এখন। কারণ, উষার পূর্বপুরুষের বাড়ি ভারতে। 

৩৮ বছর বয়সী উষার পুরো নাম উষা চিলুকুরি ভ্যান্স। তার জন্ম ১৯৮৬ সালের ৬ জানুয়ারি। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানদিয়েগোর শহরতলিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তবে তার আদি নিবাস ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে। অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরি জেলার ভাদলুরু গ্রামে উষার পরিবারের শেকড়। এখন ওই গ্রামে চলছে আনন্দের উৎসব।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হোয়াইট হাউস থেকে ১৩ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সেই গ্রাম। এখানকার গ্রামবাসী ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন। মন্দিরে গণেশ দেবতার মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে মন্দিরের পুরোহিত আপাজি বলেন, ‘আমরা আশা করি উষা নিজের শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে গ্রামের মঙ্গলের জন্য কিছু করবেন। আর সেটা করলে তা দারুণ হবে।’ গ্রামের বাসিন্দা শ্রীনিভাসা রাজু (৫৩) বলেন, ‘আমরা খুশি। আমরা ট্রাম্পকে সমর্থন করি।’

গ্রামের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী ভেনকাতা রামানায় বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়, শুধু আমি না, আমরা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক উষার জন্য গর্বিত। কারণ, সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমরা আশা করি, সে গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করবে।’ 

প্রথম একজন ভারতীয়-আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি হতে চলায় আপ্লুত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জেডি ভ্যান্সের বিজয়কে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে বর্ণনা করে চন্দ্রবাবু নাইডু এক্স এক পোস্টে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি জেডি ভ্যান্সকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তার জয় আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ তার স্ত্রী ঊষা প্রথম তেলুগু বংশোদ্ভূত আমেরিকান সেকেন্ড লেডি হতে চলেছেন।’

বিশ্বজুড়ে তেলেগু সম্প্রদায়ের জন্য এটি খুব গর্বের মুহূর্ত বলে বর্ণনা করে নাইডু জেডি ভ্যান্স এবং ঊষাকে অন্ধ্র প্রদেশে আমন্ত্রণ জানানোর অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।

উষার বাবা-মা রাধাকৃষ্ণ চিলুকুরি ও লক্ষ্মী চিলুকুরি ১৯৮০ সালে আমেরিকায় চলে যান। তাদের তিন সন্তানের একজন উষা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে উষার। এর পাশাপাশি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। এরপর তিনি ইয়েল ল স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ