ভারতে প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার ৮৬ নারী

  © সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক নারী ডাক্তার ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় এখনো উত্তাল রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। গত ৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আরজি কর মেডিক্যালে ৩১ বছর বয়সী একজন শিক্ষানবিস ডাক্তারকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। 

এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কলকাতার রাজপথে নামেন সব স্তরের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব হন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। সিএনএন

এই ঘটনা ভারতে নতুন নয়। এর আগেও এমন নৃশংস চিত্র দেখেছে ভারত। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়া নামের একটি মেয়েকে বাসচালক ও আরো পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে মৃত্যুর জন্য ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। এরপরেই ২০১৩ সালে নির্ভয়া তহবিল গঠন করা হয়।

ভারতে নারী নির্যাতন খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই ধর্ষণকাণ্ডে বিক্ষোভে দেশটি উত্তাল হয়ে উঠলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে ৩১ হাজার ৫১৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ হিসাবে দৈনিক গড়ে ৮৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। নারীর প্রতি নৃশংসতা প্রতিরোধে দেশটির বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ধর্ষণের শিকারদের জন্য এবং যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা– তা বিশ্লেষণ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 


সর্বশেষ সংবাদ