শান্তির নোবেলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেলেনস্কি

ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভলোদিমির জেলেনস্কি  © সংগৃহীত

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কে পেতে পারেন, তা নিয়ে প্রতিবছরই সবার আগ্রহ থাকে। এ বছরও এমনই কিছু ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার নাম আলোচনায় এসেছে। এ বছরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানানো হতে পারে। এ কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধীদের কেউ এ পুরস্কার পেতে পারেন। 

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে দুইটি সম্ভাবনার কথা। যুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজন যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন তারা এ পুরস্কার পেতে পারেন। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও দেওয়া হতে পারে নোবেল।

জানা যায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য করা তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ইউজিসি স্বর্ণপদকের জন্য মনোনয়ন পেলেন সিকৃবি শিক্ষক মাহমুদুল

তার পুরো নাম ভলোদিমির ওলেক্সান্দ্রোভিচ জেলেনস্কি। ২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তার ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।  নোবেল পুরস্কার পেলে জেলেনস্কি যুক্ত হবেন নেলসন ম্যান্ডেলা, জিমি কার্টার, মিখাইল গর্বাচেভ ও আন্দ্রেই শাখারভদের তালিকায়। 

প্রতিবেদনে পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর পরিচালক হেনরিক উরডাল বলেছেন, 'ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সত্য অনুসন্ধানে কাজ করা কোনো প্রতিষ্ঠান বা মানবিক সহায়তাকারী কেউ এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন।' হেনরিক আরও বলেন, 'রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধী কোনো নেতার ঝুলিতে যেতে পারে শান্তিতে নোবেল। এর মধ্যে বেলারুশের বিরোধী দলের নেতা সভেতলানা সিখানৌস্কায়া ও পুতিনের কট্টর সমালোচক রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি রয়েছেন।' 

জেলেনস্কির পরামর্শক মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, 'এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জন্য এ পুরস্কার হবে তার পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার স্বীকৃতি। এ পুরস্কার হবে ইউক্রেনের জনগণের জন্য, যারা আজ যুদ্ধ ছাড়া বাঁচার অধিকারের জন্য সর্বোচ্চ মূল্য দিচ্ছেন।' 

এ বিষয়ে হেনরিক উরডাল বলেন, 'যুদ্ধে জড়িত একটি রাষ্ট্রের নেতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে পুরস্কার কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে।' 


সর্বশেষ সংবাদ