একটি নৃবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ

মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতি নাকি কোনো ধর্মবিশ্বাস

  © টিডিসি ফটো

প্রতিবারের মতো এবারেও শুরু হয়েছে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির অন্যতম অনুষঙ্গ এখন মঙ্গল শোভাযাত্রা, যে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনিস্টিউট থেকে শুরু হয়ে রমনার বটমূলে গিয়ে শেষ হয়। বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখে এই 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'য় অংশগ্রহণ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে সম্প্রতি তুমুল আলোচনা লক্ষণীয়।

একদল মনে করেন এটি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের আচার অনুষ্ঠান কৌশলে অন্যন্য ধর্মের উপর চালিয়ে দিতে সাংস্কৃতিক নাম দিয়ে জাতীয়করণ করা হচ্ছে।অন্যদল মনে করছেন,বাঙ্গালীর কৃষ্টি-কালচার বা ঐতিহ্যকে যারা সহ্য করতে পারেন না তাদের মতো মৌলবাদিরাই এই মঙ্গল শোভাযাত্রার বিপক্ষে। এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা বা না করা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা ইউটিউবে সরব হচ্ছেন অনেকেই।

আসলে প্রথমেই দুই পক্ষের চিন্তা চেতনায় প্রয়োগকৃত শব্দাবলী বিশ্লেষণ না করলে এ বিষয়ে পরিস্কার হওয়াটা মুশকিল। এই দুই শ্রেণির বাইরের মানুষ তাহলে কোন দিকে যাবে এটাও একটা প্রশ্ন।সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আমাদের জানা দরকার সংস্কৃতি আসলে কী,এটা কাকে বলে।বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী ই বি টায়লর ১৮৭১ সালে প্রকাশিত তার "প্রিমিটিভ কালচার" গ্রন্থে সংস্কৃতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন,সংস্কৃতি একটি জটিল সামগ্রিক বিষয় যা জ্ঞান, বিশ্বাস,আইন, প্রথা, চিত্রকলা ও সামাজিক রীতিনীতি যা সমাজের সদস্য হিসেবে একজন মানুষ অর্জন করে।

কারো কারো মতে সামাজিক জীব হিসেবে আমরা যা অর্জন করি বা আমাদের যা আছে তাই সংস্কৃতি। এক্ষেত্রে ধর্মকেও সংস্কৃতির একটি উপাদান বলা যায় কারণ ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। আবার ধর্ম নিজেই যে কোনো সংস্কৃতির জন্ম দিতে পারে। যেমন বৌদ্ধ সংস্কৃতি,হিন্দু বা মুসলিম সংস্কৃতি বলা যায়। একইভাবে বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকা বিভিন্ন সংস্কৃতির জন্ম দেয়। যেমন ইউরোপীয় সংস্কৃতি, আমেরিকান বা বাঙালি সংস্কৃতি। অন্যদিকে, ইতিহাস ও ঐতিহ্য বলতে বুঝায় কোনো স্থানে বা গোষ্ঠীতে বহুকাল ধরে চর্চিত কোনো বিষয়। ইতিহাস লিপিবদ্ধ পাঠ্যপুস্তক মনে হলেও ঐতিহ্য ধারণ করে সমাজ চলমান থাকে।অন্যদিকে, ধর্মের প্রধান উপাদানই হলো বিশ্বাস। ধর্মের সাথে ফলাফল সরাসরি দেখা যাবে এমন নয় যা বিজ্ঞানে পাওয়া যায়।

বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী স্যার.জেমস ফ্রেজার তার "দ্য গোল্ডেন বাউ" গ্রন্থে ধর্ম ও যাদু থেকে বিজ্ঞান বিবর্তন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। তার ধারণা,প্রথমে মানুষ এনিমিজম বা সর্বপ্রাণবাদ তথা প্রকৃতি পুজা করতো।যেমন, পশু-পাখি,গাছপালা,চন্দ্র, সূর্য বা প্রাকৃতিক কোনো বৃহৎ শক্তিকে। কিন্তু যখন তারা দেখলো কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে এদের কাছ থেকে সাহায্য আসে না তাহলে এই প্রকৃতির পূজা চর্চা অর্থহীন।তারপর এই ধর্ম প্রকৃতি পূজা থেকে পূর্বপুরুষ পূজা এবং ক্রমান্বয়ে পলিথিজম তথা বহু ইশ্বরবাদ  থেকে মনোথিজম তথা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী হয়। এর মধ্যেও যখন তারা পরিপূর্ণ সফলতা দেখতে পায়নি তখনই তারা চেষ্টা করেছে যাদু বিদ্যার আর  এরপর জন্ম দিয়েছে আপ্রাণ চেষ্টায় বিজ্ঞানের এবং গড়ে তুলেছে সভ্যতা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আর ধর্ম চলেছে একই পথ ধরে।

এখন আমরা আসি "মঙ্গল শোভাযাত্রা" আসলে কী?ধর্মীয় বিশ্বাস,বিজ্ঞান,ইতিহাস-ঐতিহ্য নাকি সংস্কৃতি। আমরা আগেই বলে এসেছি মানুষের সব কাজই সংস্কৃতির অংশ, সেটা যদি খারাপ কাজও হয় এটাও এক প্রকার সংস্কৃতি। তার মানে মঙ্গল শোভাযাত্রার যে আয়োজন এটা ভাল মন্দ যাইহোক, এটার বয়স যতদিনই হোক সেটাও সংস্কৃতির অংশ এতে কোনো সন্দেহ নেই।এখন এই সংস্কৃতি সবার জন্য কি না এটাই প্রশ্ন। যেমন উপজাতীয় সংস্কৃতির সাথে মুসলিম বা হিন্দু সংস্কৃতি মিলবে না বা সেই সংস্কৃতি পালনেও কোনো বাধ্যবাধকতা হিন্দু বা মুসলিমের উপর নেই। এই সংস্কৃতি পালন কারীদের যেমন কটাক্ষ করা যাবে না, তেমনি পালন না করলেও কিছু বলা যাবে না।আবার ক্ষেত্র বিশেষে কিছু সাংঘর্ষিক সংস্কৃতি চাইলেও পালন করা যায় না। যেমন, ইউরোপীয় সংস্কৃতির খোলামেলা পোশাক আপনি চাইলেও বাঙালি সংস্কৃতিতে চর্চা করতে পারবেন না।যদিও জোর জবরদস্তি করে সেটা চর্চা করেন তাকে বলা হবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। পহেলা বৈশাখ একটি ঐতিহাসিক বিষয়। কারণ এটি বহুকাল ধরে এদেশের সমাজ ব্যবস্থায় চর্চিত বিষয়।সম্রাট আকবর এদেশের কৃষি উৎপাদনের খাজনা আদায়ের লক্ষে সহজাত একটি কৃষি ভিত্তিক উৎসব হিসেবে এটি সূচনা করেন যা এখনও পালিত হচ্ছে বিতর্কহীন ভাবে। কিন্তু এই দিনে আশির দশকে তথা ১৯৮৯ সালে ছায়ানট নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিউট কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে নতুন এক উৎসবের জন্ম দেয়।এটি পরিস্কার করে বললে যা দাঁড়ায়,পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গল লাভের আশায় বিভিন্ন পশু-পাখির মুখোশ, ছবি, প্রতিমা বহন করে ঢোল-তবলার তালে তালে যে মিছিল বের করা হয় তাকে মূলত মঙ্গল শোভাযাত্রা বলা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য মানব জীবনের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আনা। বিশ্বাস করা হয় এ শোভাযাত্রা করলে আমাদের জীবনে কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আসবে।

এখন পহেলা বৈশাখের শুরু,বিতর্কহীন চর্চা ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে কৃষি ভিত্তিক উৎসব এবং এই কেন্দ্রিক বৈশাখী মেলা বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তাতে কারো কোনো দ্বিমত নাই।আমরা ছোট বেলা থেকেই এই উৎসব দেখে বড় হয়েছি।পান্তা ইলিশ খাওয়ার রীতিও ইদানীং শুরু হয়েছে।এদিনে বাঙালি পোশাক পরাও আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চাকে বিশ্বব্যাপী আলাদা পরিচিতি দান করেছে।আমার জানামতে পহেলা বৈশাখের এই চর্চা নিয়ে কেউ দ্বিমত করেনি কিন্ত সম্প্রতি তিন দশক আগে শুরু হওয়া "মঙ্গল শোভাযাত্রা" নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক,কিন্ত কেন? একদল এটিকে বলতে চাচ্ছেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।যারা এতে অংশ গ্রহণ করেন না বা করতে চান না তারা বাঙালি সংস্কৃতিতেই বিশ্বাসী নন।কেউ কেউ তাদের মৌলবাদী বলেও কটাক্ষ করেন।আর অন্যদলের মতে,এটি বাঙালি সংস্কৃতি বলে কিছুই না বরং কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাসকে  সংস্কৃতির মোড়কে জাতীয় রুপ দেয়ার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। 

দু'দলের দাবীতে কারা সঠিক,তার মানদণ্ড কী?মূলত প্রথমেই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে,এই মঙ্গল শোভাযাত্রা সংস্কৃতির অংশ হলেও ধর্মীয় বিশ্বাস কি না।প্রথমেই বলেছিলাম, জেমস ফ্রেজার দেখিয়েছেন মানুষ প্রথমে প্রকৃতি পূজা বা প্রকৃতি ধর্মে বিশ্বাস করতো।যেমন বিভিন্ন প্রাণির অবয়ব তৈরি করে পূজা করতো, ঠিক এখানেও কিছুটা আচারগত পার্থক্য থাকলেও সেটিই করা হচ্ছে। যেমন পেচা বা অন্যান্য পশু-পাখির অবয়ব আছে।অন্যদিকে, দেশের মঙ্গল কামনার্থে যে বিশ্বাস বা প্রার্থনা সেটিই মূলত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য।

তাহলে প্রাণির অবয়ব ও তার কাছে মঙ্গল কামনার বিশ্বাস সেই ফ্রেজারের "প্রকৃতি পূজার" ধর্মকেই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।অন্যদিকে এটি শেষ হয় সূর্যকে অভিবাদন জানিয়ে এটি সূর্যকে পূজা করার সেই প্রাচীন ধর্মবিশ্বাসকে বুঝায়। একইভাবে এটি এদেশের সনাতন ধর্মের বিভিন্ন দেব দেবীর সাথে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।তাদের মতে,এ যাত্রায় পেচার মুখোশ দেখা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী পেচা মঙ্গলের অন্যতম প্রতীক। শুধু তাই নয়, তাদের অন্যতম দেবতা লক্ষীর বাহনও এটি। ঠিক তেমনি ইঁদুর গণেশ দেবতার বাহন। তাছাড়া হাসের ছবি ও প্রতিমা প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এ যাত্রায়, যা হিন্দুদের দেবী স্বরস্বর্তীর বাহন। হাতি, বাঘ এবং সিংহের মুখোশ ও প্রতিমাও প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এখানে। যেগুলো হিন্দুদের অন্যতম দেবী দূর্গার বাহন। একইসাথে গাভী, যা রামের সহযাত্রী, ময়ূর কার্তীকের বাহন, ক্ষীপ্ত ষাড় যা দেবাদীদেব মহাদেবের বাহন।এছাড়াও তাদের অন্যতম দেবতা হলো সূর্য দেবতা, হিন্দু ধর্মালম্বীরা তাকে পূজা করে কল্যাণ ও আলোকময় জীবনের আশায়। তার আদলে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সূর্যের মুখোশ প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।

অন্যদিকে, ইসলাম ধর্মের প্রধান শর্তই হলো একমাত্র একজন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বিশ্বাস করা,এর কোনো দ্বিতীয় বিকল্প নেই। যদি অন্য ধর্ম বা একাধিক সৃষ্টিকর্তা তথা শিরকে বিশ্বাসী হয় তাহলে সে প্রকৃত অর্থে মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে না।আর এই শিরক সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি রয়েছে যে,তওবা ব্যতীত এই শিরক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সে চিরকাল জাহান্নামী। যৌক্তিক কারণেই  একজন মুসলমান এই নব্য চালু হওয়া আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে তাকে মৌলবাদী বা বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয় বলাটা নেহায়েত অযৌক্তিক। তাছাড়া কাল যদি শাহবাগে একদল মুসলিম মিলাদ পড়া দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু করে তা হয়তো সংস্কৃতির অংশ হবে কিন্ত সেটা বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য  বা সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বীকৃতি পাবে না।এটি না মানলে কেউ বাঙালি নন এটাও বলা যাবে না।

এদেশে প্রায় ৮০০ বছর আগে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলেও এখনও ঈদ বা অন্যান্য মুসলিম সংস্কৃতিকে এরাবিয়ান সংস্কৃতি বলা হয় অথচ ৩০ বছর আগে একটি গোষ্ঠীর সৃষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা কে বাঙালির প্রধান উপাদান ভাবা আদৌ যৌক্তিকতা রাখে কি না সেটাও বিশ্লেষণের দাবী রাখে।

তবে এটাও বুঝতে হবে,মঙ্গল শোভাযাত্রার এই সংস্কৃতি চর্চায় বাধা দেয়াও আইনত অপরাধ। কারণ, সমাজের ক্ষতি না হলে স্বাধীনভাবে যে কোনো গোষ্ঠীই তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এটি পালন আইন দ্বারা নিষিদ্ধ নয় বরং জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।তাছাড়া ২০১৭ সাল থেকে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্যোগে কলকাতায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২১ সালেও আয়োজন করা হয়।

অর্থাৎ এটি একদিকে যেমন সাংস্কৃতিক উপাদান আবার অন্যদিকে নৃবৈজ্ঞানিক ধারণায়  চিন্তা করলে এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাসও বটে।তাছাড়া ইবি টায়লরের সংস্কৃতি সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলেও বিশ্বাস সংস্কৃতিরই অংশ।তাই, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যেও সংস্কৃতির মোড়কে ধর্মীয় বিশ্বাসের উপাদান রয়েছে।ফলে কেউ যদি এতে বিশ্বাস রাখে আসবে না হলে আসবে না এটা তার মতের উপর নির্ভর করে,একইভাবে কেউ আসতে চাইলে তাকে বাধা দেয়াটাও আইনগত অন্যায়।কারণ,এই সংসস্কৃতি পালনে এদেশীয় আইনে কোনো বাধা নেই। এটিকে ধর্ম বিশ্বাস ধরে নিলেও তাতে আইননত বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের মহান সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার শিরোনাম(ঘ) এ বলা আছে, কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে। তাই, এ অবস্থায় এখানে দুই পক্ষেরই উদার ও সহিষ্ণু অবস্থানই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে সাম্প্রদায়িক বা অসম্প্রদায়িক রুপ দেয়ার সুযোগ নেই বরং ধর্ম ও সংস্কৃতিকে একে অপরের পরিপূরক বলা যেতে পারে। তাই বলাই যায়,সব বিতর্ক আর যুক্তি পেছনে ফেলে একে অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোই হোক আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির মূল উপাদান।

লেখক: নাট্যকার ও কলামিস্ট
ই-মেইল: kabilsadi@gmail.com


সর্বশেষ সংবাদ