শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার গণ্ডি পার হতে কত নম্বর পেতে হয়

শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার জন্য অপেক্ষারত প্রার্থীরা
শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার জন্য অপেক্ষারত প্রার্থীরা   © সংগৃহীত

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা চলছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ভাইভার গণ্ডি পার হলেই বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক-প্রভাষক হতে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। নিবন্ধন পরীক্ষার প্রতিটি স্তরে উত্তীর্ণ হতে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সে হিসেবে ২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত ভাইভার গণ্ডি পার হতে প্রার্থীদের ৮ নম্বর পেতে হবে। প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভায় আলাদা-আলাদাভাবে ৪০ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া কোনও প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও প্রত্যয়ন বিধিমালায় শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের যোগ্য বিবেচিত হয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেতে প্রার্থীদের ন্যূনতম কত নম্বর পেতে হবে- সে বিষয়ে বলা আছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জারি করা ওই বিধিমালার সর্বশেষ সংশোধনে বলা আছে, মৌখিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হতে হবে শতকরা ৪০ শতাংশ।

ভাইভা বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোট ২০ নম্বরে ভাইভা নেয়া হচ্ছে প্রার্থীদের। এর মধ্যে ১২ নম্বর সনদের ওপর। আর বাকি ৮ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়। সাধারণত এসএসসি, এইচএসসি ও অনার্স পর্যায়ের সনদের প্রতিটির জন্য ৪ নম্বর করে ওই ১২ নম্বর বরাদ্দ। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৪ বা তার বেশি পাওয়া প্রার্থীরা ৪ এ ৪ পেয়ে থাকেন। আর অনার্স পর্যায়ে প্রথম বিভাগ বা চার সিজিপিএর স্কেলে ৩ পেলেই ওই প্রার্থী সনদের ৪ নম্বর পেয়ে থাকেন। 

তিনি আরও জানান, ভাইভায় বাকি ৮ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়। সেটি বিষয়ভিত্তিক হতে পারে, সমসাময়িক বিষয়েরও হতে পারে। প্রার্থীদের উত্তীর্ণ হতে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বা ২০ নম্বরের মধ্যে ৮ পেতে হবে। 

জানা গেছে, প্রতিটি বোর্ডে মোট ৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত। এদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা এনটিআরসিএর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভাইভা বোর্ডে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর সঙ্গে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা ও সরকারি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভাইভা বোর্ডে থাকেন। আর বাকি তিনজন থাকেন এনটিআরসিএর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, যারা ভাইভা দিতে আসা প্রার্থীর সনদগুলো যাচাই করেন। 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ (সংশোধিত-২০১৫) অনুসারে, কোনও প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক-উভয় ক্ষেত্রেই পৃথকভাবে অন্যূন শতকরা ৪০ শতাংশ নম্বর না পেলে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না। 

এনটিআরসিএর সূত্রগুলো বলছে, ভাইভা অংশ নেয়া প্রার্থীদের থেকে মোট শূন্যপদের ২০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রার্থী মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন। তবে ভাইভায় বাদ পড়ে যাওয়ার নজিরও আছে।     

জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে কিছু হয়তো বাদ যাবেন। আমরা আশা করছি, পরবর্তী ধাপে বা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পর শিক্ষক শূন্যপদের যে আধিক্য এতোদিন ছিল তা থাকবে না।


সর্বশেষ সংবাদ