এক মাসে ইনডেক্সধারীদের জন্য পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি সম্ভব!

শিক্ষক
শিক্ষক  © ফাইল ছবি

সারাদেশে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে আবেদনের সুযোগ পাবেন না ইনডেক্সধারীরা (আগে থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক)। ফলে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। বদলীর ব্যবস্থা না থাকায় এই হতাশা বেড়েছে কয়েকগুন ।

ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বলছেন, এমপিও নীতিমালায় শিক্ষকদের বদলীর কথা লেখা আছে। তবে সেটি কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে শিক্ষকদের বদলীর কোনো ব্যবস্থা নেই। বদলীর ব্যবস্থা না থাকায় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে নিজ বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সেই সুযোগ রহিত করা হয়েছে। যদি আবেদনের সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিন। এজন্য একমাসই যথেষ্ট। 

মো. আবদুল্লাহ নয়ন নামে এক ইনডেক্সধারী শিক্ষক জানান, ইনডেক্সধারীদের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিতে এক মাস-ই  যথেষ্ট। ১০ দিন আবেদন গ্রহণ করবে, পাঁচদিন যাচাই করবে। আর পরের ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষকরা যোগদান করবে। এরপর ফ্রেশ নিবন্ধনধারীদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। এতে কোনো স্কুল-কলেজে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকবে না। 

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যায়। আর ইনডেক্স নাম্বার দিয়ে শিক্ষকদের সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়। ফলে যারা এক প্রতিষ্ঠান থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে তাদের শূন্য পদ তালিকায় যোগ করতে কোনো সমস্যা হবে না।

মো. মাহবুব আলম নামে আরেক শিক্ষক জানান, চতুর্থ গিণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীরা আবেদন করতে পারবে না। আবার বয়স ৩৫ বছর হলে আবেদন করা যাবে না। তাহলে এই ৭০ হাজার পোস্ট পূরণ করবে কাদের দিয়ে। ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে ১৮ হাজার ৫৫০ জন সনদ অর্জন করেছেন। অন্যান্য নিবন্ধনের আর ২০ হাজার জনের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। তাহলে অবশিষ্ট ৩০ হাজার পদে কাদের নিয়োগ দেবে। এই পদগুলো তো শূন্যই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দাবিতে আমরা বিভিন্ন মহলের কাছে যাচ্ছি। এতে কাজ না হলে আমরা আদালতের আশ্রয় নেব। হঠাৎ করে শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ এভাবে রোধ করায় আমরা সবাই বিপাকে পড়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেরই নিবন্ধন সনদের নম্বর ৮০ থেকে ৯০ এর মধ্যে। আর এনটিআরসিএ এখন ৪০ নম্বরধারীদেরও নিয়োগ দেবে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না।


সর্বশেষ সংবাদ