বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে কেন বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

তেল
তেল   © সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে কমলেও দেশের বাজারে উলটো সয়াবিনের দাম বাড়ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলে ৩৩৩ ডলার কমেছে। কিন্তু দেশের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। উলটো ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য তত্পর। 

এপ্রিলে এসব সুবিধা নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানি করেছেন বড় মিল মালিক ও আমদানিকারকরা। যা ইতোমধ্যে দেশের বাজারে চলে এসেছে। পাশাপাশি তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে ১৭৫ ডলার। তারপরও দেশে তেলের দাম কমানো হয়নি। বরং ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এক মাসে দুদফায় প্রতি লিটার সয়াবিনে দাম বাড়িয়েছেন ৫১ টাকা। ভোক্তার পকেট কেটে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ১০-১২টি গরু কোরবানি না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াব: অনন্ত

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১৩৮৫ ডলার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে একপর্যায়ে তা বেড়ে যায়। মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১৭৮১ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে ১৭৫ ডলার।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন, পামঅয়েলের দাম বেশি। যেহেতু দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদার বড় অংশই আমদানি করে মেটানো হয়, তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দর এখন নিম্নমুখী।

সংশ্লিষ্টরা বলেছে, যদি প্রতি মাসের শেষে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করেই দর নির্ধারণ করা হয়, তাহলে কীভাবে জুনের দর সমন্বয়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হলো। এখানে কি ভোক্তার স্বার্থ দেখা হয়েছে। কাদের চাপে সয়াবিনের দাম বাড়ানো হলো? আবার জুনের দর সমন্বয়ে পামঅয়েলের দাম লিটারে ১৫ টাকা কমানো হলেও বাজারে তার কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব নেই। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পামঅয়েলের দাম আরো বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি লিটার খোলা পামঅয়েল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। যা গতকাল বিক্রি হয় ১৬৬ থেকে ১৭৪ টাকায়। সরকারের এ বিপণন সংস্থার হিসেবে গত এক বছরের ব্যবধানে খোলা পামঅয়েলের দাম ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ আর খোলা সয়াবিনের দাম ৫২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ