নির্ধারিত সময়ের পর এলো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৩৬ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৫৫ PM
লালমনিরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ‘মেঘনা’ সেটের প্রশ্নপত্র ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে না আসায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষা দিতে না পারায় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) জেলার আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা বা পরীক্ষায় যাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের নির্দেশনায় পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানগণ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুনরায় তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করেন। যদিও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এবারের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় লালমনিরহাট জেলার প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘পদ্মা’, ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’ ও ‘সুরমা’— চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা। পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আসেনি, এতে করে এ সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছে।
এতে অনেক পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যান। এদিকে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন : প্রশ্ন ফাঁসের কোনো খবর পাইনি
রায়হান নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি মেঘনা সেটের কোনো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসেনি। পরে কেন্দ্রপ্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। পরে আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রে বিক্ষোভ করি। পরে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কেন্দ্রপ্রধান মাহবুবুল আলম মিঠু জানান, মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের সাড়ে ১২টা তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না আসায় মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।