শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্রলীগের দুই নেতা
ছাত্রলীগের দুই নেতা   © টিডিসি ফটো

স্নাতক পরীক্ষার ভাইভায় দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বুধবার (৩০ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সম্মান ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এক্সটারনাল পরীক্ষকগণ দায়িত্বে ছিলেন। এই পরীক্ষায় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেলসহ বিভাগের অন্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, এদিন আনুমানিক বিকাল সাড়ে তিনটার সময় সোহাগ বেপারী (৩৭) রাসেল জমাদ্দারসহ (২৮) অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন লোক পালং মডেল থানাধীন ধানুকা সাকিনস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ৩০২ নং কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বেআইনি জনবন্ধে আবদ্ধ হন এবং ওই কক্ষে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করেন। তারা ওই মৌখিক পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার মাধ্যমে সরকারি কাজে বাধাদান করেন।

আরও পড়ুন : শিক্ষক মারধরের দায়ে শরীয়তপুর কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

এজাহারে বলা হয়েছে, এ সময় বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেল এই বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সকল আসামীগণ বিএম সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকগণ ও ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে আসেন। এতে অভিযুক্তরা বিএম সোহেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে।

জানা গেছে, বুধবার বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করেই সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারি ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন।

এ সময় তিনি বিএম সোহেলকে তাদের কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি সেটি জানতে চান। ভুক্তভোগী শিক্ষক এ বিষয়ে কথা বলতে বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষককে ডেকে আনার কথা বললে সোহাগ ওই শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি মারেন। এ ঘটনার পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এ কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence