থাকতে হবে সেপটিক ট্যাংক অন্যথায় মিলবে না ভবন নির্মাণের অনুমোদন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।  © সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নতুন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবন নির্মাণে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক রাখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রবিবার (১৩ মার্চ) ডিএনসিসির নগর ভবনে আয়োজিত 'নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয ’ শীর্ষক কর্মশালা’য় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।

বর্জ্য পানির লাইন কোনভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এরকম ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি সংযুক্ত করে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।

আরও পড়ুন: ‘যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের সুপারিশ ছাড়াই এমপিওভুক্ত হবে’

এসময় তিনি আরও বলেন, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনও বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী জানান, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুুন: বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্যামিলা ক্যাবেলো

তিনি আরও জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।

মন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইনই মানুষকে সভ্য করেছে। আইন সবার জন্য সমান। মন্ত্রী-এমপি, মেয়র এবং ক্ষমতাবানদের জন্য আলাদা কোনও আইন নেই। কাউকে ছাড় দিবেন আর কাউকে ধরবেন এটা হবে না। রাষ্ট্রকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালন করেন তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

উল্লেখ্য, এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।


সর্বশেষ সংবাদ