মোটরসাইকেলের সাউন্ড জোরে হওয়ায় শিক্ষককে পুলিশ কর্মকর্তার মারধর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

নোয়াখালীতে স্কুল শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মোটরসাইকেলের এক্সেলেটর ঠিক করার সময় অধিক শব্দ হওয়ায় ওই শিক্ষককে মারধর করেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম রমজান আলী। তিনি চাটখিল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছে। আর ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।

আরও পড়ুন: মিলছে না এমপিও, পেশা বদলাচ্ছেন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকরা

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০-৬০০ ছাত্রছাত্রীকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় বিদ্যালয়ের ৬-৭ জন শিক্ষকসহ তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে যান। যাওয়ার সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হাসপাতালের সামনে রেখে যান। ফিরে এসে দেখেন, মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া নেই, এক্সেলেটরও নষ্ট। এ সময় মোটরসাইকেল চালু করে এক্সেলেটর ঠিক করার সময় অত্যধিক শব্দ হলে এসআই রমজান আলী তাকে গালাগাল করেন এবং গেটের বাইরে যেতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, গেটের বাইরে গিয়ে বাইক চালু করার চেষ্টা করলে এসআই রমজান এসে আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। শিক্ষক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি মারেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন আর বন্ধ করতে না হয়: শিক্ষামন্ত্রী

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই রমজান আলী বলেন, স্কুলের ছাত্রছাত্রীর টিকা দেওয়ার কারণে হাসপাতালের বাইরে অনেক ঝামেলা ছিল। এ সময় বহিরাগত লোকজনকে সরাতে গেলে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে তাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের দাবি করেন, শুধু মোটরসাইকেল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ