১০ বছর পর আবারও পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ার বাংলাদেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০৯ PM , আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০৯ PM
১০ বছর পর আবারও পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ার হলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিউ ইয়র্কে মিশরের কাছ থেকে একবছরের জন্য এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই পদে কোনও নারী ছিলেন না। রাবাব ফাতিমাই প্রথম নারী চেয়ার হিসেবে পিসবিল্ডিং কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার রাতে বলেন, পিসবিল্ডিং কমিশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সব সময় কাজ করেছে। কিন্তু কমিশনে সভাপতিত্ব করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘে যারা শান্তি রক্ষার সঙ্গে জড়িত, তারাই শুধুমাত্র এর সদস্য। বাংলাদেশের ওপর ওইসব সদস্যের আস্থা আছে বলেই তারা আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধিকে একবছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।’
আরো পড়ুনঃ রাবি ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় ছাত্রের মৃত্যু
পিসবিল্ডিং কমিশনে শান্তিরক্ষা ও পিসবিল্ডিং নিয়ে আলোচনা হয় এবং নীতি নির্ধারণ করা হয় জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এখানে বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে তুলে ধরার একটি সুযোগ থাকবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে কারও যদি কোও সমস্যা থাকে, তবে পিসবিল্ডিং এর সভাপতি হিসেবে আমরা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবো, আমাদের অবস্থানকে তুলে ধরার জন্য।’
শান্তিরক্ষী ও র্যাব নিয়ে ১২টি এনজিও’র চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে কেউ চিঠি লিখতে পারে। তবে এর মাধ্যমে জাতিসংঘের নীতির পরিবর্তন হবে, এটি আমার মনে হয় না।’
৩০ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ২০০৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের যৌথ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে গঠিত হয়। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০১২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আব্দুল মোমেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পিসবিল্ডিং কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কমিশনের মোট ৩০ জন সদস্যের মধ্যে সাত জন সাধারণ পরিষদ, সাত জন নিরাপত্তা পরিষদ ও ছয় জন ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এছাড়া শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণকারী প্রথম পাঁচটি দেশ ও আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা পাঁচটি দেশের আরও মোট ১০ জন সদস্য রয়েছেন উল্লেখ্য, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে থাকে বাংলাদেশ।