জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ গৃহীত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:২০ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:২০ PM
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গ্রহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রেজুলেশনটিতে করোনাকালীন বাস্তবতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে আয়, সুযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও টিকার নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যগুলো। এছাড়া কোভিডের সময়ে লিঙ্গ বৈষম্য ব্যাপকতর হয়েছে। ঘৃণাত্বক বক্তব্য, কালিমা লেপন, বর্ণবাদ ও জাতিগত বিদ্বেষ অর্থাৎ যে সব বিষয় শান্তিকে বিপন্ন করে তুলে তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে রেজুলেশনটিতে।
এতে সহনশীলতা, বৈষম্য বিলোপ, বহুত্ববাদ, মত প্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতাসহ ঘৃণাত্বক বক্তব্য মোকাবিলা করার মতো বিষয়গুলো আরও এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম,অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কোভিড পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় রাষ্ট্রগুলো যাতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি কাজে লাগায় সে আহ্বানও জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ বছর রেজুলেশনটি আরও প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ বিশ্বব্যাপী আমরা কোভিড-১৯ মহামারির নজিরবিহীন ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছি।
জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
এ বছরও ৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমগুলোতে সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি আরও এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতি যে রূপান্তরধর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয় ফোরামটিতে।