বছরের প্রথমদিন নতুন বই বিতরণ নিয়ে সংশয়ে এনসিটিবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০৮:২৩ AM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:০৯ AM
বই মুদ্রণ না হওয়া, নতুন বই মুদ্রণের চুক্তি না হওয়া এবং বাজারে প্রিন্টের জন্য নির্ধারিত কাগজ না থাকায় আগামী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বই মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। একই সাথে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক স্তরের নতুন বই ছাপানোর বিষয়ে কোনো প্রেসের সাথে এখনো চুক্তি করেনে এনসিটিবি। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরের একটি বই প্রিন্টের জন্য যে কাগজ নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি বাজারে নেই। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বই প্রিন্ট হওয়া নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো প্রাক-প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই 'আমার বই' ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্লোস ঠিক রেখে বাকি শর্ত শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন মুদ্রণ মালিকরা। নতুবা নির্ধারিত সময়ে বই মুদ্রণ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন মুদ্রণ মালিকরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, বই মুদ্রণ নিয়ে প্রতিবছরই সংশয়ের কথা বলা হয়। তবে আমরা নির্ধারিত সময়েই সব কাজ শেষ করি।
তিনি আরও বলেন, এবারও যে সংকটগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো সমাধান হয়ে যাবে। ছোট ছোট কিছু সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করে দ্রুত বই মুদ্রণের কাজ শেষ করা হবে। এরপর জেলাগুলোতে নতুন বই পাঠানো হবে।