গোপালগঞ্জে নিহত ‘রমজান কাজী’ বলে আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধা হৃদয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৩ PM
গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। এতে নিহত হন চারজন; এরমধ্যে একজনের নাম রমজান কাজী। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নিহত এই যুবকের ছবি ভুলভাবে প্রচারিত হয়েছে। এ নিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সিরাজগঞ্জের যুবক জুলকার নাইম হৃদয়।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহতও হয়েছিলেন তিনি। হৃদয় জানান, গোপালগঞ্জে নিহত ‘রমজান কাজী’র যে ছবি ছড়িয়েছে সেটা ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের তার আহতের ছবি। তিনি এখনও বেঁচে আছেন।
গতকাল ঘটনার পর একটি গণমাধ্যমে এই ছবিটি ভুলভাবে প্রচারিত হয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নাম দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। গোপালগঞ্জের সহিংসতায় নিহত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে প্রচারিত সেই ‘রমজান কাজী’।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মীদের এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হৃদয় ও তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মৃত্যুর খবর নিজে দেখে চরম ক্ষোভ করেন এই জুলাই যোদ্ধা।
জানা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মীদের আইডি থেকে প্রচারিত নিহত ‘রমজান কাজী’ নামটি মূলত তার নয়। তার আসল নাম জুলকার নাইম (ডাকনাম হৃদয়)। প্রচারিত ওই ভিডিওটি হলো- ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের আলী আক্কাস সরকারের ছেলে জুলকার নাইমের।
হৃদয় বলেন, আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নাম দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই না করে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া খুবই দুঃখজনক। আমি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই ভুল সংশোধনের আহ্বান জানাই।
হৃদয়ের বাবা মো. আলী আক্কাস সরকার বলেন, আমার ছেলে জীবিত ও বাড়িতেই আছে। অথচ গতকাল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতদের তালিকায় মিথ্যা পরিচয় ও ছবি দিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।