দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়ের বন, কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা

আগুনে জ্বলছে গারো পাহাড়
আগুনে জ্বলছে গারো পাহাড়  © টিডিসি ফটো

প্রতিবছর এই মৌসুমে যেন বন পোড়ানোর মচ্ছব চলে। কে যে বনে এ আগুন লাগিয়ে দেয়, তা কেউ জানতেও পারে না। ভারতের সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হচ্ছে। এতে জীবজন্তু ও গাছপালা পুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে আগুন জ্বলছে। বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। 

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যেসব অংশীজন রয়েছেন, তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবছর এই সময়ে আগুন লাগে এসব বনে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নিচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য চরম হুমকিতে পড়বে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে শালপাতা শুকনো অবস্থায় বনে পড়ে স্তূপ হয়ে থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় ট্যুরিস্টদের আনাগোনা বেশি থাকে। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায়, সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি, ১০ থেকে ১৫টি স্থানের আগুনের নেভানো হয়েছে। এ ছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে কাজ করব, যাতে তারা বিড়ি-সিগারেটের আগুন বনে না ফেলে। আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence