এবার পুলিশ লাইনে গোপন বন্দিশালার সন্ধান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩২ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫০ PM

পুলিশ লাইনে গোপন বন্দিশালা পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান। তিনি বলেন, বগুড়া পুলিশ লাইনে এ বন্দিশালা পাওয়া গেছে, যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হতো।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
নূর খান বলেন, পুলিশ লাইনের ভেতরে কারাগারের মতো গোপন বন্দিশালা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। যেটি একেবারেই এবসার্ড একটা ব্যাপার। সেটি আমরা বগুড়ায় পেয়েছি। আমরা ধারণা করছি, অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের বন্দিশালা আরও পাব।
এসব বন্দিশালা গত ১৫ বছরে করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নূর খান বলেন, এগুলো গত ১৫ বছরের মধ্যেই বানানো হয়েছে। সম্ভবত গত ১০ থেকে ১২ বছরের মতো। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দিদের এনে রাখা হতো, জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হতো এবং এখান থেকেও অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
একই সম্মেলনে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির অবস্থান বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
দেশ থেকে গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি ভারতের কারাগারে আছে কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখবে গুম সংক্রান্ত কমিশন। ইতোমধ্যে ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি বন্দিদের তালিকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত এক হাজার ৬৭ জনের বন্দির তালিকা দিয়েছে। সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কি না, তা মিলিয়ে দেখছে কমিশন।
উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।