মনিরামপুর পৌরশহরে নেই গণশৌচাগার, বিপাকে সাধারণ মানুষ
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ PM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৪ PM
যশোরের মনিরামপুর পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণির হলেও শহরের মধ্যে নেই একটি গণশৌচাগারও। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে শহরে আসা মানুষগুলোকে পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। বাধ্য হয়ে অনেকে সড়কের পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করেন, ফলে দূষিত হচ্ছে শহরের পরিবেশ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য এই সংকট আরও প্রকট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনিরামপুর পৌরসভার বাসিন্দা ছাড়াও আশপাশের ১৭টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ শহরে আসেন। এখানকার তিনটি প্রধান বাসস্ট্যান্ড দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু কোনো গণশৌচাগার না থাকায় তারা বিপাকে পড়েন। পুরুষরা কোনোরকমে মসজিদ বা খোলা জায়গায় কাজ সারতে পারলেও নারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসী গণশৌচাগারের দাবি জানালেও এর কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ব্যস্ততম স্থান থানা মোড় ও দক্ষিণমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও রোগী যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানে কোনো গণশৌচাগার নেই। অনেকেই বাধ্য হয়ে আশপাশের মসজিদ বা হোটেলের শৌচাগার ব্যবহার করেন, তবে সবার সে সুযোগ হয় না। ফলে রাস্তার ধারে মলমূত্র ত্যাগের মতো অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাকরিচ্যুত ৬ শিক্ষানবিশ এএসপির একজন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা
এ বিষয়ে মণিরামপুর বাজারের ব্যাবসায়ী হাফিজুর বাবু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, শহরের মধ্য একটাও গণশৌচাগার নেই। প্রয়োজন দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই মসজিদের শৌচাগার বা আশেপাশের খোলা যায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। যদি পৌরসভা থেকে কমপক্ষে একটি গণশৌচাগার তৈরি করা হয় তাহলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।
কলেজ শিক্ষার্থী সাইমা ইসলাম কোহেলী বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই পড়া-লেখা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা কিংবা অন্যান্য সেবা পেতে প্রতিনিয়ত বাজারে আসতে হয়। বাজারের ৯০শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। টয়লেট ব্যাবস্থা না থাকায় কিছু মানুষ আবার যত্রতত্র টয়লেট করে থাকে। রাস্তার দু'ধার যেন তাদের জন্য টয়লেট হয়ে উঠেছে। এ ধরনের কাজের জন্য সাধারণ জনগণকে পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে। এতে করে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং পরিবেশ বাঁচাতে মনিরামপুর পৌরশহরে গণশৌচাগারের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: ‘ফেসবুক কমেন্টের জেরে শিবির কর্মীরা আমাকে মারধর করেছে’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মাকসিদুল আলম রোহান বলেন, পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি গণশৌচাগার না থাকায় প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হয়। বিভিন্ন প্রকল্প আসে যায় কিন্তু গণশৌচাগারের ব্যাবস্থা হয় না তাই এই মূহূর্তে মণিরামপুরে গণশৌচাগার নির্মাণ করা জরুরী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, একটি প্রকল্প ইতিমধ্য হাতে নেওয়া হয়েছে। অচিরেই পৌরসভার আওতাধীন একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে।