বিএনপি নেতার ‘অংশীদারত্বমূলক চাঁদাবাজি’র তত্ত্ব ভাইরাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৮ AM , আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৮ AM

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, চাঁদাবাজির ৪ ভাগের ১ ভাগ চাই। না দিলে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিদ্রোহ করা হবে। গত ২৩ জানুয়ারি কালুখালী উপজেলা বিএনপির এক সভায় দেওয়া তার এই বক্তব্যের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বিএনপির এই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা যদি ২০০০ টাকার চার ভাগের এক ভাগ নেতাকর্মীদের জন্য রাখতে পারি, অর্থাৎ ৫০০ টাকা, তাহলে তা ১০ জন কর্মীর মাঝে ৫০ টাকা করে ভাগ করে দেওয়া সম্ভব। দল যদি ২০০০ টাকা থেকে আমাদের ৫০ টাকা দেয়, তাহলে নেতাকর্মীরা খুশি হবে, আর তখন আল্লাহও খুশি হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখন পুরো টাকা ঘরে নিয়ে যান, তখন সেই টাকায় আর কোনো অভিশাপ থাকবে না। হাটবাজার, ওএমএস ডিলার, খাদ্য ডিলার, মাছ চাষ, টেন্ডার—যেখান থেকেই আয় হোক, তার একটা অংশ দিতে হবে। যদি কেউ এটা না করে, তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে নামব।’
ভিডিওতে পাশে থাকা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কাজ হবে অংশীদারত্বমূলক, সেটা অর্থনৈতিক কাজ হোক বা রাজনৈতিক কাজ হোক।’
সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন আরও বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীকে দিলে কিন্তু সেটা জাকাত হয়। কিন্তু ওরা তা দেবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যবসা করা ঠিকাদাররা এখন সামনে আসতে পারছে না। তারা হয়তো বলবে, তোতা ভাই, আপনি সামনে থাকেন, আপনি তো বড় নেতা, অসুবিধা নেই। আমাকে কিছু দিলে দিয়েন, না দিলে না দিয়েন, তারপরও লাইসেন্সটা থাক।
বক্তব্যের একপর্যায়ে হারুন বলেন, ‘এখনো আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছেন, যারা বাজার করে খেতে পারেন না। আপনি যখন দলের কোনো অংশ থেকে কিছু টাকা তাকে দেবেন, তখন সে খাবে, তার পরিবার খুশি হবে, আল্লাহ খুশি হবেন, আর আমার দল লোকেরা শান্তিতে থাকবে।’
এই বক্তব্য নিয়ে এরই মধ্যে স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মো. হারুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৩ জানুয়ারি কালুখালী উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সামনে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও কাটছাঁট করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিভ্রান্তিকর ভিডিওটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও প্রোফাইলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন অনৈতিক ও কুৎসিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।