২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি রেলকর্মীদের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ AM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:১০ PM
মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান এবং নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগরীর বটতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি পালনের এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনবার সময় দেওয়ার কথা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পত্র এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া রানিং স্টাফদের বৈষম্যমূলক শর্ত প্রত্যাহার না করলে ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকরা (টিটি) রেলওয়ের রানিং স্টাফ হিসেবে পরিচিত। দৈনন্দিন ট্রেন পরিচালনায় তারা সরাসরি সম্পৃক্ত।
লিখিত বক্তব্যে মজিবুর বলেন, ‘রেলওয়ের রানিং স্টাফরা ১৬০ বছর ধরে অবসরের পর মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক পেয়ে আসছেন। রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক— যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেন সচল রাখেন রানিং তারা। তাদের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা জাতীয় দিবসের বন্ধ নেই। কিন্তু গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিজেদের দুর্নীতি ও অর্থ অপচয় ঢাকতে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বেতন, পেনশন ও আনুতোষিক কমিয়ে দেওয়া হয়।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২২ সালের পর নিয়োগপত্রে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা পাবেন না এবং মাসিক রানিং অ্যালাউন্সের পরিমাণ মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এছাড়া অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক পাবেন, যা রেলওয়ের কোনো আইন বা বিধি বিধানে বলা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি তোলার বিষয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মজিবুর বলেন, এর আগেও আন্দোলন হয়েছে। ২০২২ সালে ১৩ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছিল। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর বারবার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনো সমাধান এখনো পর্যন্ত হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, সহ-সভাপতি খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন।