বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুরের মধ্যে যে চুক্তি ও সমঝোতা হলো

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর মধ্যে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে
বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর মধ্যে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে এগুলো সই হয়।

এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের ডিপ্লোমেটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি এবং দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
 
পরে দুই দেশের সরকারপ্রধান যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য হবে পূর্ব তিমুর। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে ডিএমপির নির্দেশনা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশংসায় ভাসিয়ে জোসে রামোস হোর্তা বলেছেন, পৃথিবীতে সম্ভবত ড. ইউনূসই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে, যা বিস্ময়কর। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনি একমাত্র নেতা, যিনি এত সম্মানিত এবং এমন শক্তশালী একাডেমিক যোগ্যতাসম্পন্ন।
 
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সামনের দিনে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী।
 
এর আগে সকালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করবেন।

আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সংস্কারে সুপারিশ দিয়েছে বিএনপি

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার সকালে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল জোসে রামোস হোর্তাকে গার্ড অব অনার দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!